Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

শপিং মলে কেলেঙ্কারি! বাচ্চা ছেলে এমন কান্ড ঘটালো যে বাবাকে চুকাতে হলো লক্ষাধিক টাকা

শপিং মলে এমন অনেক দামি দামি জিনিস, স্ট্যাচু ইত্যাদি থাকে যেগুলো যথেষ্ট দামি হয়। কিন্তু কখনো কখনো মুহূর্তের অসতর্কতায় ঘটে যায় এমন সব ঘটনা যেগুলোর জন্য অনেক লোকসান হয়ে যায়। একটি খেলনার দোকানে প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি স্ট্যাচু ছিল। কিন্তু সেটা পড়ে গিয়ে ভেঙে কোনো ভাবে ভেঙ্গে যায়। এরপর আর কি! সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয় কে সেই মূর্তি ভেঙেছে। এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ও করা হয়। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি টা যে কে করেছেন সেটার পেছনের আসল সত্যটা জেনে অনেকেই অবাক!

চীনের হংকং এর মংকক জেলা। এখানে, ল্যাংহাম প্লেস শপিং মলের খেলনার দোকানে একটি ৫.৯ ফুট উচ্চতার সোনার মূর্তি মেঝেতে টুকরো টুকরো পড়ে থাকতে দেখা যায়। এতে দোকানের কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তারা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। যেখানে ওই মূর্তির পাশে একটি বাচ্চাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মূর্তি পড়ে যেতে শুরু করলে বাচ্চাটি সেটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। এরপরই মাটিতে পড়ে যায় মূর্তি। ঘটনার সময় ছেলেটির বাবা চেং দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। কিন্তু মূর্তি পতনের আওয়াজ তাঁর কাছে পৌঁছলে তিনি ফিরে তাকালেন।

চেং এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান – আমার ছেলে শুধু স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সে শুধু খেলনার দিকে তাকিয়ে ছিল। এই ঘটনায় আমার ছেলে এতটাই ভয় পেয়েছিল যে তার কথা সরছিল না। সে আমাকে জিজ্ঞাসা করে কেন মূর্তিটি দেখতে এমন লাগছে।

ছেলের ভুল বুঝতে পেরে চেং মূর্তির টাকা দিতে রাজি হন। মূর্তিটির খুচরা মূল্য ছিল ৫ লক্ষ টাকার বেশি, কিন্তু দোকানদার এতে কিছুটা ছাড় দিয়েছিল এবং বাচ্চাটির বাবা কে প্রায় ৩.৩ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছিল। দোকানের মালিক কে কে প্লাস দাবি করেছেন যে মূর্তির ক্ষতির বিষয়টি পারস্পরিক সম্মতিতে মিটেছে। দোকানের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে- এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং সবকিছু মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিতর্ক শুরু হয়। কিছু লোক দোকানদারকে দোষারোপ করছিল, অন্যদিকে কাউকে শিশুটির বিরুদ্ধে কথা বলতেও দেখা গেছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন শিশুটির বাবার কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলে টাকা নেওয়া হয়েছে। আরেক পক্ষ বলেন, এত দামী মূর্তি ঘিরে রাখা উচিত ছিল, যাতে কেউ কাছে যেতে না পারে। আপনি কি মনে করেন?

Related posts

এই গ্রামে অবাধে চলছে যৌনলীলা, নেই লিভ ইন, ওপেন সেক্সের মত বিষয়ের উপর কোনও আপত্তি

News Desk

দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্ত! দৈনিক আক্রান্ত পেরিয়ে গেল ১২ হাজার

News Desk

বডি ম্যাসাজ পার্লারে যেতেন স্বামী! সেখানে ম্যাসাজের নাম করে কী চলত জানতে পেরেই ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী!

News Desk