উত্তরপ্রদেশের কানপুর পল্লীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বর তার সঙ্গে কোনো ফটোগ্রাফার না আনলে কনে ছাড়াই ফিরতে হয় বরকে। বিয়ের অনুষ্ঠানের মাঝখানে কনে জানতে পারলে বিয়েতে বরযাত্রীর সাথে কোনো ফটোগ্রাফার আসেনি, কনে রাগান্বিত হয়ে মণ্ডপ থেকে উঠে পাশের বন্ধুর বাড়িতে চলে যান। এরপর সারারাত কনেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও কনে আর বিয়েতে রাজি হয়নি। এরপর কনে ছাড়াই বরযাত্রী ফিরে আসে।
সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলপুর থানা এলাকার একটি গ্রামের একটি মেয়ের বিয়ে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ভোগনিপুর থানা এলাকার ডিপ গ্রামের বাসিন্দা অরুণ কুমারের সাথে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের আগে, তিলকসহ যাবতীয় আচার-অনুষ্ঠান সানন্দে পালন করেন কনে। রবিবার বরযাত্রী নিয়ে বর এসে পৌঁছলে তাকে বরণ করে নেওয়া হয়। এর পর মণ্ডপে পৌঁছে যান বর। কনে যখন মণ্ডপে এসে এই স্মরণীয় মুহূর্তে কোনও ফটোগ্রাফার, ভিডিওগ্রাফার, বা ক্যামেরাম্যানকে না দেখতে পেয়ে মণ্ডপ থেকে নেমে পাড়ায় এক বন্ধুর বাড়িতে চলে যান।
বর সহ উভয় পক্ষের লোকজন কনেকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে রাজি হয়নি। কনে এই বলে বিয়ে করতে রাজি হননি, যে তার বিয়েতে তাঁকে দেখতে কেমন লাগছে তার সারাজীবন কোনো স্মৃতি থাকবে না।
বর অরুণ জানান, তিনি তার বিয়েতে ভিডিও ক্যামেরাম্যান আনেননি। এ কারণে কনে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে পরে ক্যামেরাম্যানকেও ডাকা হয়। এরপরও বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানো হয় ওদের তরফে। আমাদের হুমকি দেওয়া শুরু করলে আমরা নিজেরাই পুলিশকে ফোন করি। পুলিশ আসার পর দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। এরপর কনেকে ছাড়াই বরযাত্রী ফিরে আসে।