আতঙ্ক ধরাচ্ছে মাঙ্কিপক্স। ইউরোপের ১৫টিরও বেশি দেশে মাঙ্কিপক্সের ১০০টিরও বেশি কেস এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট করা হয়েছে। এই সংক্রমনের ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে আসার পর মাঙ্কিপক্সও পৃথিবীর বুকে করোনার মতো মহামারির আকার ধারণ করবে কি না, তা নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মানুষের মনে এই নিয়ে প্রশ্ন। সম্প্রতি এই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) একটি বিবৃতি সামনে এসেছে। জেনে নেওয়া যাক তারা কি বলেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) মাঙ্কিপক্সের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে তারা মনে করেন না যে এই রোগটি আগামী দিনে মহামারীতে পরিণত হবে, তবে এটি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা এখনো বাকি রয়েছে। তিনি বলেন আমাদের জানতে হবে যে এই রোগটি আসলে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক দশক আগে অতি ছোঁয়াচে গুটিবসন্তের টিকা কোনওভাবে এর বিস্তারকে ত্বরান্বিত করতে পারে কিনা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাক্তার রোসামুন্ড লুইস সোমবার একটি পাবলিক ইভেন্টে বলেছেন যে এটির উপর জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে বিশ্বব্যাপী কয়েক ডজন দেশে, বেশিরভাগ পুরুষ যারা সমকামী, উভকামী বা পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক করে তারা মাঙ্কিপক্সের শিকার হয়েছে যাতে বিজ্ঞানীরা এটির বিষয়ে একটি নতুন ব্যাপার আঁচ করতে পারছে। এর উপর আরও পড়াশুনা করার দরকার কেননা যারা এর শিকার হতে পারে তাদের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজনীয়।তিনি বলেছিলেন যদিও লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে যে কেউ এই রোগের শিকার হতে পারে। তিনি বলেন, তবুও এ রোগ মহামারী আকার ধারণ করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
মাঙ্কিপক্স হল মানুষের গুটি বসন্তের মতোই একটি বিরল ভাইরাল সংক্রমণ। এটি প্রথম ১৯৫৮ সালে গবেষণার জন্য রাখা বানরের মধ্যে সনাক্ত করা হয়েছিল। মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের প্রথম ঘটনা ১৯৭০ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল। এই রোগটি প্রধানত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট অঞ্চলে দেখা দেয় এবং মাঝে মাঝে অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।