বিহারের পাটনা শহর থেকে এক অভিনব ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ নিজের শ্বশুর এর সঙ্গে পালিয়ে যায়, তারপর ক্ষুব্ধ স্বামী থানায় পৌঁছে সাহায্যের আবেদন করলেও সময়মতো সাহায্য না পাওয়ায় এবং গ্রামবাসীর কটূক্তির কারণে তিনি বিষ পান করে নেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি পাটনার পারসা বাজার থানার কুরথাউল গ্রামের। কুরথাউল গ্রামের এক মহিলার তার স্বামীর মামা অর্থাৎ মামা শ্বশুরের বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক ছিল।
এই পরকীয়া এতটাই তীব্র আকার নেয় যে ওই নারী তার মামা শ্বশুরকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বেশ কয়েকদিন ধরে এ সম্পর্ক চলছিল। কানাঘুষো শুনে স্বামী এর বিরোধিতা করলেও মামাশ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই নারীর স্বামীকে হত্যার হুমকি দেন। তিন দিন আগে ওই ব্যাক্তির স্ত্রী তার দুই সন্তানকে রেখে মামাশ্বশুর যশবন্ত সিং-এর সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত স্বামী থানায় গিয়ে সাহায্যের আবেদন করলেও পুলিশ কিছু করার আগেই স্বামী থানা থেকে ফিরে বিষ খেয়ে ফেলেন। পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের সদস্যদের মতে, কুন্দন সিং কুর্থাউলে তার পৈতৃক বাড়িতে দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই বিবাহিত জীবনযাপন করছিলেন, কিন্তু মামা শ্বশুরের সাথে স্ত্রী পরকীয়ার জড়িয়ে পড়লে তার জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। কুন্দনের গ্রামের মামা যশবন্ত সিং তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন এবং এরপরেই কুন্দনের স্ত্রীর তার মামা শ্বশুর যশবন্ত সিং-এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে গোটা গ্রামে নানা রকম আলোচনা শুরু হয়।
কুন্দন সিং থানায় তার জবানবন্দিতে বলেছেন যে যশবন্ত সিংয়ের সাথে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ছিলেন। জানা গিয়েছে, থানা থেকে বাসায় ফিরে এলাকার লোকজন তাকে কটূক্তি করতে থাকে যা তিনি সহ্য করতে না পেরে বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে ফেলেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কুন্দন পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিল যে আমার স্ত্রীর যশবন্ত সিং এর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এবং সে মামাশ্বশুর এর সাথে পালিয়ে গেছে, এতে বিরক্ত হয়ে আমি বিষ খেয়েছি। কুন্দনের বক্তব্যের ভিত্তিতে, পুলিশ যশবন্ত সিং এবং মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এখন অভিযুক্ত দুজনকেই খুঁজছে।