আস্তে আস্তে শক্তি বাড়িয়ে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের আকৃতি নিচ্ছে সাইক্লোন তউকতে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে এর ভেতরেই দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের ৬টি জেলায় শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত।
সাইক্লোন তাওকাতের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য এবং ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে জনজীবন বিদ্ধস্ত হলে তা সামাল দিতে কেন্দ্রের তরফ থেকে ৫৩টির বদলে ১০০টি টিম নামিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি বা National Disaster Response Force (NDRF) এর। ৫ রাজ্য — গুজরাত, মুম্বই, কেরল, তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকে মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি। পাশাপশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় থাকবে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ভারতীয় নৌসেনা।
এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে কেরলে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। কেরালা সরকার রাজ্যের ৮ জেলায় লাল সতর্কতা ও আরও কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে।
গোয়াতে আর কর্নাটকেও আঘাত হানল সাইক্লোন তাওকাতে। গোয়া তে এর প্রভাব পড়েছে গোয়ার রাজধানী পানাজিতে। গোয়ার সমুদ্র সৈকতে শুরু হয়েছে জলোচ্ছাস।
তাওকাতের প্রভাবে কর্ণাটকেও শুরু হয়েছে ঝড় বৃষ্টি। এখনও অবধি এই ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কর্ণাটকের ৭৩টি গ্রাম। এখনও অবধি মোট ৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
আগামীকাল থেকে গুজরাট আর দ্বারকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। কোথাও কোথাও ১৬০ কিলোমিটার এর বেশি বেগেও ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর ১৮ তারিখের মধ্যে উত্তর থেকে উত্তর পশ্চিম গুজরাতে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় তাওকাতে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য শনিবারই জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বিভিন্ন মন্ত্রকের শীর্ষ পদাধিকারীদের পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর শীর্ষ অধিকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।