স্ত্রী গিয়েছেন নিজের বাবার বাড়িতে, কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকে সে আর ফিরতে চাইছেনা। একপ্রকার কোনও উপায় না পেয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য নিজেই সে বাড়িতে পৌছায় স্বামী, কিন্তু কিছুতেই ফিরবেন না বলে জেদ ধরেছেন স্ত্রী। কোনোমতেই বাড়ি ফিরবেন না বলেও সোজাসুজি জানিয়েছেন তিনি। স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের লোকেদের জব্দ করতে এক ফন্দি আটে সে, নিজের নাবালিকা শ্যালিকাকে নিয়েই পালিয়ে গেলেন ওই ব্যক্তি। এই অবাক করা ঘটনাতি ছাপড়া জেলা, বিহারে হয়েছে। ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ এরমধ্যেই আটক করেছেন।
পুলিশের সূত্রে খবর, ওই পলাতক নাবালিকার বাবা অর্থাৎ ওই ব্যক্তির শশুর নিজের জামাইয়ের বিরুদ্ধেই প্রথমে অপহরণের অভিযোগ জানান। অবশ্য যখন গোটা ঘটনাটি মহিলা পুলিশ সেলের কাছে পৌছায় তখন জানা গেছে যে, নিজের পরিবারের বিরুদ্ধেই ওই নাবালিকা অভিযোগ দায়ের করেছেন বাল্যবিবাহের। পুলিশ এই সম্পূর্ণ ঘটনায় রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছেন। এরপরে পুলিশ ওই পলাতক নাবালিকা ও তাঁর জামাইবাবুকে নিজেদের হেফাজতে নিলে জানতে পারেন যে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি জোর করেছিলেন নাবালিকাকে তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহের অভিযোগ জানাতে। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে। এদিকে , ওই নাবালিকা নিজেই জানিয়েছেন যে সত্যিই নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে একপ্রকার জোর করেই বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল তাঁর পরিবারের তরফে। আর তাই সে জামাইবাবুর সাথে পালিয়ে যান।
সূত্রের খবর, ওই অভিযুক্তের নাম কৃষ্ণারাম যার সাথে সংক্রান্তি দেবীর ১২ বছর আগে বিয়ে হয়, এমনকি চার সন্তানও রয়েছে তাদের। প্রতিদিনের দাম্পত্য অশান্তি, ঝগড়ায় রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি, আর সেকারণেই কয়েকদিন আগে বাপের বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। স্বামী অনেকবার ফোন করে অনুরোধ করলেও তিনি ফেরেননি। কৃষ্ণারাম বর্তমান সপ্তাহে যখন বাড়ি ফিরিয়ে আনতে যান তাঁকে, আর তখনও তিনি রাজি হয়নি, আর তাই নাবালিকা শ্যালিকাকে নিয়েই পালায় অভিযুক্ত।