ধেয়ে আসছে বছরের প্রথম ঘুর্ণিঝড়। লাক্ষাদ্বীপ এলাকা থেকে আরব সাগর হয়ে প্রবেশ করতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। আরব সাগরের বুকে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপটি রবিবারের মধ্যে ঘুর্ণিঝড়ের আকৃতি নেবে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (India Meteorological Department)। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘তওকতে’ (Cyclone Tauktae)। আরব সাগরের বুকে তৈরি এই ঘুর্ণিঝড়ের জেরে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, কেরল এবং গুজরাতের উপকুলগুলিতে সতর্কতা জারি করেছে। রয়েছে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টি শুরুও হয়ে গিয়েছে।
নিন্মচাপটির জেরে শুক্রবার থেকেই লাক্ষাদ্বীপ-সহ কিছু জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের তওকতের জেরে শুক্রবারই কেরলের ৫টি জেলা জুড়ে প্রশাসনের তরফে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। রবিবার থেকে সোমবারের মধ্যে ভারতের দক্ষিণ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় তওকতের আছড়ে পড়বে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কেরালায় শনিবার থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।
আরব সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়টি খুব দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে বিশাল আকার ধারণ করেছে৷ আগামী ১৮ই মে গুজরাতের ও মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী অঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় লান্ডফল করবে৷ ইতিমধ্যেই সাইক্লোন পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে National Disaster Response Force (NDRF) -র ৫৩ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে৷
কেরলের পাশাপাশি গুজরাট ও মহারাষ্ট্র উপকূল বরাবর মে মাসের ১৫ তারিখ থেকেbমৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ বার বার সতর্কতা জারি করা হচ্ছে তাঁরা যেন সমুদ্রে না যান৷ এই নিন্মচাপের জেরে পুণে, সাতারা, সাঙ্গলি, রত্নগিরি, সিন্ধদুর্গ, শোলাপুর, বিড, আহমেদনগর, কোলাপুর, নানদিদ, লাতুর ইত্যাদি নানা জায়হায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়া বইবে৷ আজ ১৫ তারিখ থেকে হওয়ার গতি বেড়ে হবে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা আর ১৬ তারিখ সেটা ঘণ্টা প্রতি ৮০ কিলোমিটার গতিতে বইবে৷