Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

নীরব ঘাতক হ্যাপি হাইপোক্সিয়া অতর্কিতে উপসর্গহীন আক্রান্তদের প্রাণ কাড়ছে কোভিড এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে!

একের পর এক নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে (covid second wave) রোগীদের । তরুণদের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছে প্রবীণদের তুলনায় । করোনার (Coronavirus) প্রথম ঢেউয়ে যেটা লক্ষ্য করা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শারীরিক ক্ষমতা তরুণ প্রজন্মের একটু বেশি থাকার কারণে শরীরে সংক্রমণ অনুভব করতে একটু সময় নিচ্ছে। এর ফলে সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে জেঁকে বসছে করোনাভাইরাস (Coronavirus) ।

নীরব ঘাতক হ্যাপি হাইপোক্সিয়া অতর্কিতে উপসর্গহীন আক্রান্তদের প্রাণ কাড়ছে কোভিড এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে!


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশির ভাগ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের এই হ্যাপি হাইপোক্সিয়া (Happy Hypoxia) মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে ।

কী এই হ্যাপি হাইপোক্সিয়া (Happy Hypoxia)?

হাইপোক্সিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে, রক্তে অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে অক্সিজেনের মাত্রা। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হল, শরীরে, রক্তে অক্সিজেনের অস্বাভাবিক ঘাটতি হওয়া সত্ত্বেও আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে প্রবল শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরানোর মতো কোনও সমস্যাই দেখা যায় না। চিকিৎসাও সময় মতো শুরু করা যায় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই হঠাৎ করেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন হ্যাপি হাইপোক্সিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি ।

কোনও ব্যক্তি হ্যাপি হাইপোক্সিয়ায় (Happy Hypoxia) আক্রান্ত তা কীভাবে বোঝা যায়?

হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার প্রধান লক্ষণ শরীরে বা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া সত্ত্বেও আক্রান্ত ব্যক্তির কোনও সমস্যা না হওয়া। শরীরে ৯৭-এর নিচে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গেলেই শ্বাসকষ্ট হওয়াটা একটা স্বাভাবিক লক্ষণ। কিন্তু কোনও সমস্যাই টের পান না আক্রান্ত ব্যক্তি হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার ক্ষেত্রে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৭০, ৬০ বা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলেও । হ্যাপি হাইপোক্সিয়া (Happy Hypoxia) এই অদ্ভুত পরিস্থিতিকেই বলা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তরুণদের প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব শক্তিশালী, তাই তাদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্তরটি নীচে নেমে গেলেও তাঁরা বুঝতে পারে না। কারণ, তারা প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও লক্ষণ বা হালকা লক্ষণ দেখায় না করোনার রোগী হয়েও । বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ অল্প বয়সের রোগীরা বুঝতে পারেন না যে তাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে এবং তাঁরা তাঁদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন কোনও কিছু না বুঝেই । এর পর বিপত্তি বেড়ে যাচ্ছে হঠাৎ অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পেতেই । এই রোগে ঠোঁটের রঙ বদলে নীল রঙের হয়ে যাচ্ছে আক্রান্তদের। ত্বকের রঙ বদলে লাল বা পার্পল রঙের হয়ে যাচ্ছে। হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার অন্যতম লক্ষণ কঠোর পরিশ্রম না করেও ঘাম হওয়া বলে জানিয়েছেন তিনি।

Related posts

আশ্চর্যজনক ভাবে এই রহস্যময় গ্রামে বসবাসকারী মানুষ পশু পাখি সকলেই অন্ধ, কারণ কী?

News Desk

ভাম বিড়াল মেরে মাংস খাওয়ার জন্য পোড়াচ্ছিল তিন যুবক, হাতে নাতে পড়ল ধরা

News Desk

বর্ষায় কমে যায় সেক্সের চাহিদা! কি বলছে বিশেষজ্ঞরা?

News Desk