দীর্ঘ সময় ধরে আশেপাশের লোকের সন্দেহ ছিল তাদের উপর। এক ব্যক্তি কে নিয়ে এদিক-ওদিক শোনা যেত কিছু কথা কানাঘুষা ঠিকই। কিন্তু কারো সামনাসামনি প্রকাশ হয়নি। কিছুটা সেইসব কানাঘুষো কানে আসছিল তার স্ত্রীর ও। তাই পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে মিলে আঁতাত করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন সে না থাকলেও নজর রাখতে। সেই মতন তীক্ষ্ণ নজর রেখেছিল স্থানীয়রা। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই সুযোগ এসেই গেল। ঘটনাটা কি, জানুন বিশদে।
TV9 বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার বাড়ি ফাকা থাকার সুযোগে নিজের প্রেমিকাকে নিয়ে এসে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল ৩৫ বছরের এক ব্যক্তি। কিন্তু জানালা দেওয়া ছিল না। এদিকে তক্কে তক্কে ছিলেনই পাড়া-প্রতিবেশীরা। যুবক দরজা বন্ধ করতেই জানালায় চোখ রাখলেন তারা। যুবক আর তার প্রেমিকার শারীরিক ঘনিষ্ঠতার দৃশ্য চোখে পড়লে জানলা থেকে সরে যান বটে কিন্তু বাইরে থেকে চিৎকার চেঁচামেচি, দরজায় ধাক্কা শুরু হয়ে যায়। খবর যায় স্ত্রীর কাছেও। উপায় না পেয়ে দরজা খুলতে বাধ্য হয় যুবক। এর পরেই দুজনকে হাতেনাতে ধরেন প্রতিবেশীরা। শুধু তাই নয় শাস্তি দেওয়ার দায়দায়িত্ব তুলে নেন নিজেদের হাতে। কেটে দেওয়া হয় মহিলার চুল, মারধর করা হয় ওই যুবককে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বামুনগাছি রেল কোয়ার্টার এলাকায়। অভিযোগ রীতিমতন মধ্যযুগীয় বর্বরতায় পরকীয়ার শাস্তি দেওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, রেল কোয়ার্টারের পাশেই একটি পরিবারের জামাই ছিলেন ঐ ব্যক্তি। তার বউ ছিল সেই পাড়ারই মেয়ে। তিনি নিজের পাড়ার লোকেদের বলে রেখেছিলেন নজর রাখতে। এরপরে যখনই ওই ব্যক্তি ও অন্য মহিলার ঘনিষ্ঠতা দৃশ্য চোখে আসে তখনই দরজায় ধাক্কা দিয়ে পাড়া-প্রতিবেশী সমেত ঘরে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে আসেন স্ত্রী।
বলা হচ্ছে স্ত্রী স্বামীর ওই প্রেমিকা চুলের মুঠি ধরে হিচড়াতে হিচড়াতে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর উপস্থিত সকলেই চড়াও হন তাঁর ওপর। কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়া হয় মাথার চুল। অভিযোগ এইসব ঘটনা মোবাইল বন্দীও করা হয়। অপরদিকে ভয়ানকভাবে মারধর করা হয় ওই ব্যক্তিকেও। প্রায় চার ঘন্টা চলতে থাকে এই শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া। এরপরে পুলিশ পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে জনতার হাত থেকে। কিন্তু এখন অব্দি কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর ওই ব্যক্তির স্ত্রী পাড়ার মেয়ে হওয়ায় তার স্বামীর এমন কার্যকলাপে রেগে গিয়েছে পাড়া-প্রতিবেশী।