প্রায়শঃই বাবার যৌন লালসার শিকার হতে হত নাবালিকাকে। এই নিয়ে মা কে বললেও সে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি মা। শেষ পর্যন্ত অত্যাচার আর সহ্য না করতে পেরে নিজেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল মেয়েটি। বাবাকে কৃতকর্মের শাস্তি দিতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল নাবালিকা।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার অন্তর্গত সাহাপুর গ্রামে। ওই গ্রামের এক ব্যক্তি লাগাতার নিজের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করতো বলে অভিযোগ। নিজের বাবার যৌন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় গিয়ে বাবার বিরুদ্ধে নালিশ করেছে কত সেই নাবালিকা ই। নিজের অভিযোগে নাবালিকা জানায় প্রায় এক বছর ধরে সে এইভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বাবা প্রথম প্রথম চালাত শারীরিক নির্যাতন। যত সময় যায় ততই বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা। আস্তে আস্তে অত্যাচার বাড়তে বাড়তে পৌঁছে যায় ধর্ষণের মতন জঘন্য কাজে। এমনকি সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো তার মাকে জানালেও মা কিছুই বলেনি বা নাবালিকার পাশেও দাঁড়ায়নি।
এরম চলতে চলতে দিন দিন নাবালিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছিল। বাবার এরকম পাশবিক কুকীর্তি আর সইতে না পেরে অবশেষে রুখে দাঁড়ানোর কথা ভাবে নাবালিকা। শুক্রবার সকলের নজর ফাঁকি দিয়ে সে ৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে হাজির হয় কাঁকরতলা থানায়। অবশেষে সে পুলিশের কাছে খুলে জানায় পুরো বিষয়টা। অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কাঁকরতলা থানার পুলিস। ওই ব্যক্তিকে শনিবার দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিভাবে নিজের মেয়েকে অত্যাচার হতে দেখে মা চুপ থাকলো সেই ব্যাপারে নাবালিকার মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অবশ্য সেই মহিলা বলেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি সবটাই অস্বীকার করেছেন।