সম্প্রতি ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ভারিয়ান্ট বা প্রকারটি মারাত্বক সংক্রামক রূপ ধারণ করেছে, সেই প্রজাতিটি পৃথিবীর আরও ৪৪টি দেশে পাওয়া গিয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO) এর তরফে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ভারতে প্রথম খোঁজ মিলেছিল বি.১.৬১৭ প্রকারের করোনা ভাইরাসের প্রজাতির এই ভাইরাস। তারপর চলতি বছরে ভারতে মারাত্বক সংক্রমণ ছড়িয়েছে এই প্রজাতি। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর আরও ৪৪টি দেশে এই প্রজাতির করোনা ভাইরাস খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, জানিয়েছে হু।
এই সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু বি.১.৬১৭ করোনা ভাইরাস প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক প্রজাতির’ তকমা দিয়েছে। ভারতের বাদে এই ভাইরাস সবথেকে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে ব্রিটেনে। অন্যান্য করোনা প্রজাতির থেকে করোনার এই প্রজাতি দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে আগেই সতর্ক করেছিল হু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুর তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘গবেষণায় দ্বারা দেখা গিয়েছে ভারতে করোনা দ্বিতীয় বার এত দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর পিছনে যে মূল কারণ তা হল এই নতুন ভারিয়ান্ট- এর নিজস্ব ক্ষমতা। এই ভারিয়ান্ট অনেক দ্রুত এক জনের থেকে অন্য জনে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। এমনকি করোনার ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেই অ্যান্টিবডিও বহু ক্ষেত্রে এই ভাইরাসকে আটকাতে ব্যর্থ হয়। ফলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন’।
সেই সঙ্গে পৃথিবীর আর যে সব দেশে এই প্রজাতির ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে সেই সব দেশকেও হু সতর্ক করেছে। হু বলেছে ভারতে প্রথম পাওয়া গেলেও তা কিন্তু এখন বিশ্বের আরও ৪৪টি দেশে পৌঁছে গিয়েছে। এর থেকেই অনুমান করা যায় এই ভাইরাস কত দ্রুত ছড়াচ্ছে। এই মুহূর্তে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজই হল এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা। তার জন্য প্রতিটি দেশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা হুর বিশেষজ্ঞদের।