Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

অজান্তেই আপনার রক্তে মিশছে ‘প্লাস্টিকের গুঁড়ো’! কীভাবে খোঁজ পেয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা

প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ সকলের কপালে। কি সাধারন জনতা, কি বিজ্ঞানী। প্লাস্টিক দূষণ পরিবেশ ও শরীরের জন্য কতোটা ক্ষতিকর সেই বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেই প্লাস্টিকের গুঁড়ো আমাদের রক্তে মিশছে।

বিজ্ঞানীদের একটি দল প্রথমবারের মতো প্রমাণ করেছে যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যাবহৃত পাস্টিক যেমন জলের বোতল, মুদি দোকান থেকে দেওয়া পলিথিনের ব্যাগ, খেলনা এবং ডিসপোজেবল কাটলারি থেকে প্লাস্টিকের কণা আমাদের রক্তপ্রবাহে সনাক্তযোগ্য মাত্রায় মিশছে। আর এরপরেই উদ্বেগ বাড়ছে। এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনালের বৈজ্ঞানিক জার্নালে (Environment International journal) প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে আমাদের চারপাশের পরিবেশ থেকে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কনা মানুষের রক্তপ্রবাহে শোষিত হয়।

আমাদের আশেপাশের পরিবেশের বাতাসে, জলে, মাটিতে চারদিকে মিশছে প্লাস্টিক। ছড়াচ্ছে দূষণ। কিন্তু তাও স্বস্তির জায়গা এটাই ছিল যে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল মানুষের রক্তে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা নেই প্লাস্টিকের কনার। কোনো ভাবে প্লাস্টিকের কনা শরীরের ভেতরে গেলেও শরীরে রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেটি বার করে দিতে সক্ষম। কিন্তু এই পরীক্ষা প্রমাণ করে দিল সে ধারণা যে পুরোপুরি ভুল। এর ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে সেই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

এই পরিক্ষা তে পলিথিন টেরেফথালেট (পিইটি), পলিথিন এবং স্টাইরিনের পলিমারগুলি ছিল রক্তের নমুনাগুলিতে পাওয়া সবচেয়ে সাধারণ ধরণের প্লাস্টিক, তারপরে পলি (মিথাইল মেথাক্রাইলেট)। পলিপ্রোপিলিনও বিশ্লেষণ করা হয়েছিল কিন্তু সঠিক পরিমাপের ধারণা পাওয়ার জন্য ঘনত্ব খুব কম ছিল।

PET সাধারণত সোডা এবং জলের বোতলে পাওয়া যায়। দুধ এবং গৃহস্থালীর নানা দরকারি বোতলে পলিথিন (ব্লো-এক্সটেন্ডেড গ্রোসারি ব্যাগ, ক্যাপ এবং খেলনা) উপাদান মেলে। যেখানে স্টাইরিনের পলিমার ডিসপোজেবল কাটলারি, প্লাস্টিকের মডেল, সিডি এবং ডিভিডি কেসে পাওয়া যায়।

আমস্টারডামের ভ্রিজ ইউনিভার্সিটির ইকোটক্সিকোলজিস্ট হিদার লেসলি বলেছেন, “আমরা এখন প্রমাণ করেছি যে আমাদের চারপাশের নদীর জলের প্রবাহে যেমন প্লাস্টিক মিশছে, তেমনই শরীরের ভেতরে রক্তপ্রবাহেও নদীর মতোই প্লাস্টিক মিশছে।”

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, একবার রক্তে ঢুকে পড়া মানেই এই প্লাস্টিক পৌঁছে যাচ্ছে শরীরের সব অঙ্গেই। সবচেয়ে ভয়ের যে বিষয়টি হল এটি মানুষের মস্তিষ্কেও পৌঁছে যাচ্ছে তাহলে। এর ফলে শরীরে কি প্রভাব পড়তে পারে, তা এখনই বুঝতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে এই পরীক্ষায় আসা ফল যে মানুষের স্বাস্থ্য ঘিরে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, সেটা স্বীকার করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

Related posts

১৮ বছরের ঊর্ধ্বের সমস্ত ভারতীয় কে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে সরকার, বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

News Desk

সাপের উপদ্রবে অতীষ্ট! সাপ তাড়াতে কোটি টাকার সম্পত্তি পুড়িয়ে ফেললেন এক ব্যক্তি!

News Desk

সন্ধি পুজোয় ১০৮ টি পদ্ম কেন উৎসর্গ করা হয় মা দুর্গার উদ্দেশ্যে? জানেন এর মাহাত্ম্য

News Desk