দোল খেলতে গিয়ে বিপদ হয়েছে দোলের দিন। দুই বন্ধু দোল খেলার পর পুকুরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যায়। ওই দুই একাদশী শ্রেণীতে পড়াশুনোরত কিশোরের ভয়ানক মরোত্যুতে শোকাচ্ছন্ন বীরভূমের দুবরাজপুরের ১৩ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। ওই দুই কিশোর দোল খেলে স্নান করতে যায় পুকুরে আর সেখানেই তলিয়ে যায় দুজনে। ওই দুজনের মধ্যে একজন দুবরাজপুরের ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রকি দে। অপরজন দুবরাজপুর ১৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নবীন দাস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বন্ধুদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিল ১৭ বছরের দুই কিশোর সকাল থেকে। গত দু’বছর রঙের উৎসব পালনে বাধা পড়েছিল করোনার আবহে। এবারে নতুন উদ্দমে উৎসবে মেতেছিলেন সকলেই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কমতে। দুবরাজপুরের আচার্য পাড়াও বাদ ছিল না। তখন দুপুরে গড়াতে না গড়াতেই কে জানত এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অপেক্ষা করছে। দোল উৎসব পালনের পর , শুক্রবার দুপুরে ওই পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল অনেকজন। রকি এবং নবীনকে হঠাৎ করে খুঁজে পাওয়া যায় না। এরকম মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে সাঁতার না জানার কারণেই বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জলে দুই কিশোর ডুবে যাওয়ার পরই তাদের বন্ধুদের চিৎকারে জড়ো হন স্থানীয়রা। তারাই তাদের খুঁজে বের করার কাজে জোরকদমে হাত লাগান। তাদের দু’জনকে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পর পুকুর থেকেই উদ্ধার করা হয়। এরপর দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ওই দুই দেহ পাঠানো হয়েছে সিউড়িতে ময়নাতদন্ত করতে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ঘটনায়। দুবরাজপুরের সিআই মাধবচন্দ্র মণ্ডল ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান, দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন এবং দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডেও সেখানে যান।
একরকম মর্মান্তিকভাবে দুবরাজপুরের মতোই কলকাতার গড়িয়ার ব্রহ্মপুর এলাকাতেও জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। এক কিশোরের (Young boy) রং খেলে দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু (Drowned to death) হয়েছে। ক্লাস নাইনের ছাত্রের এহেন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাঁশদ্রোণী থানা (Bashdroni Police Station)।