সামনে খাবারের বিকিকিনি। পেছনে পতিতাবৃত্তি। এই ভাবেই দিব্যি ইন্দোরের ধাবায় চলছিল সেক্স র্যাকেট। পুলিশ যখন সেখানে অভিযান চালালো, পেছনের ঘরগুলোয় কী চলছে সেই দৃশ্য দেখে ভীষণ অবাক হয়ে গেল। ধাবায় দেহ ব্যবসা চালানোর জন্য তৈরী খোপ গুলো এততাই গোপনে রাখা হয়েছিল যে পুলিশ আগেও বেশ কবার অভিযান চালিয়ে খালি হাতে ফিরেছে। জানা গেছে এখানে গ্রাহকদের প্রতি ঘন্টার ভিত্তিতে চার্জ করা হতো।
কিন্তু শেষবার ধাবায় অভিযান চালিয়ে সেক্স র্যাকেট ফাঁস করেছে ইন্দোর ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সামনের ধাবায় চলতো খাবার বিক্রি আর পেছনে চলতো দেহব্যবসা। পুলিশ অভিযান চালালে বিপুল সংখ্যক কল গার্ল ও গ্রাহক ধরা পড়ে। গ্রেফতার করা হয়েছে ধাবা অপারেটরকেও। পুলিশ ধাবা অপারেটরসহ ৮ জন পুরুষ ও ৭ জন মহিলাকে আটক করেছে।
ইন্দোরের পালিয়া এলাকায় ধরা পড়ে এই সেক্স র্যাকেট। এখানে অবস্থিত রাজপুতানা ধাবায় চলতো পতিতাবৃত্তি। ধাবা মালিক ধাবার পেছনে ছোট ছোট কক্ষ তৈরি করে সেখানে চালাত অবৈধ কর্মকাণ্ড। কল গার্ল নিজেরাই এখানে খদ্দের আনতেন। এখানে নির্মিত কেবিনেরl সময় অনুযায়ী মোটা অংকের টাকা আদায় করা হতো। পুলিশ তদন্ত করলে জানা যায়, এই জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কাজের জন্য কুখ্যাত ছিল। এর আগেও একাধিকবার এখানে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু ধাবা মালিক এখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছিল। কেবিনগুলোতে পেছনের দিকে দরজা রাখা হয়েছিল। এ কারণে পুলিশ আসার সাথে সাথে সে কল গার্ল ও গ্রাহকদের পেছনের দরজা থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করতো।
ধাবা অপারেটর এখানে আসা তরুণীদের এবং গ্রাহকদের কাগজপত্র নিয়ে তবে প্রবেশ করতে দিত। তাই কোন ফাঁক ছিল না। কিন্তু পুলিশ এবারে আঁটঘাট বেঁধে নামে। পতিতাবৃত্তির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে অপরাধ শাখার সঙ্গে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এখানে অভিযান চালায়। ধাবাটি চারদিক থেকে অবরোধ করা হয়েছিল, তাই এবার কেউ পালাতে পারেনি। পুলিশ এখান থেকে প্রায় এক ডজন অভিযুক্তকে আটক করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সেই সঙ্গে পতিতা চক্রের মূল হোতা কারা তাও খুঁজে বের করা হচ্ছে।