বেশি রিফাইন্ড সুগার যুক্ত পানীয় সেবনের কারণে বাড়ছে অন্ত্র আর মলদ্বারের ক্যানসারের আশঙ্কা। সম্প্রতি এমনই তথ্য দিলো ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব মেডিসিন’ বিভাগের একটি গবেষণা।
সাধারণত একটু বয়স্ক ব্যাক্তিই দের ক্ষেত্রেই থাকে অন্ত্র আর মলদ্বারের ক্যানসারের আশঙ্কা। কয়েক বছর আগে অবধিও এই ধরনের ক্যানসার হওয়ায় গড় বয়স ছিল ৭২ বছরের কাছাকাছি। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে অন্ত্র এবং মলদ্বারের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সেই গড় বয়স কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৬৬ বছরে। কেন এমনটা হচ্ছে? এই প্রশ্নের হদিস খুঁজতে গিয়েই ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষকেরা একটি সমীক্ষা শুরু করেন। তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অল্প বয়স থেকেই যাঁরা অতিরিক্ত মিষ্টি বা চিনি মেশানো পানীয় পান করতে শুরু করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। ঠিক কী পরিমাণে বাড়ে ক্যানসারের আশঙ্কা, সেটাও দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতি দিন ২০০ মিলিলিটার বা তার বেশি মিষ্টি পানীয় পান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অন্ত্র এবং মলদ্বারের ক্যানসারের আশঙ্কা প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়ে যায়।
গবেষকরা তুলনামূলক কম বয়সে যারা এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে এমন ১,১৬,৫০০ জনকে নিয়ে এই সমীক্ষাটি করেন। সমীক্ষায় দেখা যায়, এই এদের প্রায় প্রত্যেকেই হাই সুগার যুক্ত এই পানীয় দীর্ঘ দিন ধরে পান করে আসছেন। সাধারণ বেশি মিস্টি যুক্ত এই জাতীয় পানীয় ২০ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় পান করার প্রবণতা দেখা যায়। এরপর অনেক সময়ে এই ধরনের মিস্টি যুক্ত পানীয়ের অভ্যাস ত্যাগ করলেও, তার কুপ্রভাব শরীরে থেকে যায়। বাড়ে তাড়াতাড়ি এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।
এছাড়াও এই সমীক্ষা আরো বলেছে, শিশুদের বেড়ে ওঠার সময়, বিশেষ করে ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে যদি মিস্টি জাতীয় পানীয়ের অভ্যাস হয়ে যায়, তাহলে তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই ৫০ বছর বয়সে পৌঁছনোর আগেই শরীরে বাসা বেঁধে ফেলে এই জাতীয় ক্যানসার।