অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত হতে গিয়ে প্রায়শই নানা ভয়ঙ্কর ঘটনা অভিজ্ঞতা করে থাকে অনেকে। তার উপরে মাদক সেবন করা থাকলে তো কথাই নেই। এমনই একটি ভয়ঙ্কর ঘটনার খবর সামনে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য থেকে। যেখানে পাশবিক যৌনতায় লিপ্ত হতে গিয়ে একজন আরেকজনের হত্যা করে বসল মাদকের নেশায়। আসলে, উইসকনসিনের গ্রিন বে-তে এক দম্পতি ড্রাগস নিয়ে গলায় চেন বেঁধে পশুর মতো যৌনমিলন করেছিল এবং পরে মহিলাটি তার সঙ্গীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে নেশার ঘোরে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, মহিলাটি তার সঙ্গীকে গলায় শিকল বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তারপরে দেহটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্র অনুযায়ী, গ্রিন বে শহরের পুলিশ তার সঙ্গীকে হত্যার অভিযোগে ২৪ বছর বয়সী এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযুক্ত মহিলা তার সঙ্গীকে হত্যা করার পরে তার দেহ টুকরো টুকরো করে এবং মাথাটি একটি বালতিতে ফেলে সেখানে ফেলে দেয় এবং বাকি দেহ আলাদাভাবে ফেলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের আগে ওই দম্পতি মাদক সেবন ও পশুর মতো যৌন সম্পর্ক করেছিল। ওই নারী জানিয়েছেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গলায় শিকল বেঁধে দুজনেই যৌনমিলন করেন।
মহিলার গাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি দেহের টুকরো পাওয়া গেছে:
তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত মহিলার নাম টেলর এস, যাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ ওই মহিলার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত খুন, মৃতদেহ বিকৃত করা এবং তৃতীয় মাত্রায় যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে মামলা করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে টেলর এসকে তার সঙ্গীর সাথে শেষ দেখা গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাকে প্রথম যখন দেখা যায় তার জামাকাপড় ও হাতে রক্ত ছিল। শুধু তাই নয়, পুলিশ যখন মহিলার গাড়িতে তল্লাশি চালায়, তখন পুলিশ তার গাড়িতে নির্যাতিত ব্যাক্তির একটি পা দেখতে পায়।
মহিলা তার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে:
পুলিশ জানায়, অপরাধ স্থলে মাদক সেবন ও রক্ত পরিস্কারের প্রমাণও পাওয়া গেছে। টেলর এস পুলিশকে আরও বলেছে যে সে যখন সেক্স করেছিল তখন সে নেশাগ্রস্ত ছিল এবং নেশার কারণে হত্যা করে ফেলে। পুলিশের ধারণা, ওই নারী নির্যাতিত ও নিহত ব্যাক্তির সঙ্গে মেথামফেটামিন নামের মাদক সেবন করেছিলেন। এরপর নির্যাতিতর গলায় শিকল বেঁধে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে একই শিকল দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা শুনে সকলেই শিহরিত হচ্ছে।