এক বৃদ্ধার গলার নলি কাটা অবস্থায় দেহ পাওয়া গিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ইছাপুরের নতুনপাড়া এলাকায়। রীতিমত আতঙ্কিত এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে ওই বছর সত্তরের নিহত মহিলার নাম সিক্তা চ্যাটার্জি। ওই এলাকায় সিক্তা দেবীকে সকলেই দিদিমনি নামেই চেনেন। একটা সময় উনি প্রাইভেট টিউশনি করটেনশন বলে জানা গিয়েছে। আচমকাই তার এমন অবস্থার কারণে ওই এলাকার লোকও যথেষ্ট আতঙ্কিত। সিক্তা দেবীর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে যে ওনাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা আর্থিক কারণে হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। যদিও নোয়াপাড়া থানার পুলিশ জোরকদমে তদন্তে নেমে পড়েছেন।
একটি বাড়িতে একাই থাকতেন সিক্তাদেবী ইছাপুরের নতুনপাড়া এলাকায়। বেশ কিছু বছর আগে পরলোক গমন করেছেন তাঁর স্বামী জ্যোতিষকান্ত চট্টোপাধ্যায়। ওই মহিলা তার স্বামীর স্মৃতিচারণ করে ওই বাড়িতে একাই থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। ওনার প্রতিবেশীদের মতে উনি খুবই নিরীহ মানুষ ছিলেন। ব্যবহারও খুব ভালো ছিল ওনার। পাড়া প্রতিবেশীদেরও ওনার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল।
স্বপন দে সিক্তাদেবীর আত্মীয় জানিয়েছেন , যে তিনি ওই ঘটনাস্থলে ফোন পেয়েই এসেছেন। পুলিশ সে সময়ের মধ্যে দেহ উদ্ধারও করে ফেলেছেন। স্বপন দে’র কথায়, “ ফোনে খবর পাই রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। মেঝেতে পড়ে আছেন মেজদি। চারিদিকে রক্তারক্তি কান্ড আর তার মধ্যেই উনি পরে আছেন। তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে তো দেখে মনেই হচ্ছে যে খুন হয়েছে। টাকা পয়সার কোনও ব্যাপারে বা ঝামেলার কারণেই হয়তো এটা হয়েছে। যা দেখে বুঝেছি যে গলায় ক্ষত ছিল। সেখান থেকেই রক্তপাত হয়েছে।” স্বপন দে’র কথায়, “একাই থাকতেন উনি বাড়িতে। বছর কয়েক হল ওনার স্বামী মারা গিয়েছেন। উনি এক্স আর্মি ছিলেন। এই ঘটনা কোনওরকম শত্রুতার জেরে কি না তা এভাবে বলাও সম্ভব নয়। সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।”
এলাকার বাসিন্দারা জানান, এদিন রাতে হঠাৎই দেখা যায় সিক্তাদেবীর বাড়ির দরজা হাট করে খোলা। স্থানীয়দের তখনই সন্দেহ হয়।বাইরে থেকেই তাঁরা ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এদিকে ঘরের সমস্ত আলো নেভানো ছিল মূল দরজা খোলা থাকলেও বলেই স্থানীয়দের দাবি। তারপরই সিক্তাদেবী মাটিতে পড়ে রয়েছেন দেখতে পায় স্থানীয়রা। ঘরের ভিতরে রক্তারক্তি কান্ড দেখে অবাক হয়ে যান বাসিন্দারা। নোয়াপাড়া থানায় খবর পাঠানো হয়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে থেকে মৃত দেহে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এখন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।