স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ বা সংসারে অশান্তি এমন নানান ঘটনা প্রায়ই সামনে আসে। কিন্তু এই অশান্তির পরিণাম যে এমন নৃশংস আর অমানবিক হয়ে উঠতে পারে তা যেন কল্পনারও অতীত। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থেকে এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা প্রকাশ্যে এলো যা শুনলে আঁতকে উঠতে হয়।
স্বামীর বিরুদ্ধে সুপারি কিলার নিযুক্ত করে নিজের স্ত্রীকে খুন করানোর অভিযোগ উঠল। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বামীর অন্যায় এই পর্যন্তই নয়। নিজের স্ত্রীকে খুন করানোর জন্য সুপারি কিলারকে টাকার বদলে স্ত্রীকে ধর্ষণ করার ‘অফার’ দিয়েছিলেন স্বামী! প্রাথমিক তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত লাগোয়া জয়ন্তীপুর গ্রাম এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন যে ফতেমা নামের ওই গৃহ বধূ নিখোঁজ ছিলেন গত ২রা মার্চ থেকে। অবশেষে তার দেহে উদ্ধার হয়েছে ৩রা মার্চ সকালে। প্রাথমিক তদন্তের শুরু থেকেই ওই বধূর স্বামীর বিরুদ্ধে সন্দেহ দানা বাধে পুলিশের। আর সন্দেহ আরও গভীর হয় ফতেমার দেহ উদ্ধারের পর, আর তখনই তদন্তকারীরা গ্রেফতার করেন ফতেমার স্বামীকে। পুলিশের জেরার মুখে পরে সামিউল (ফতেমার স্বামী) স্বীকার করে নেয় যে সে সুপারি কিলার দিয়ে হত্যা করেছে ফতেমাকে। এই ঘটনা সামনে আসতেই তাদের ছেলে সামিউলের ফাঁসির দাবী করেছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে যে , রোজ অশান্তি লেগেই থাকতো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। সামিউল তার নিজের স্ত্রী ফতেমাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতো। পাশাপাশি বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক নিয়ে পরস্পরকে সন্দেহ করতো তারা। ঠিক এরপরই সামিউল তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে । আর সেকারণেই সুপারি কিলারের সাথে যোগাযোগ করে সে।
আর তখনই সামিউল ওই দুষ্কৃতিকে জানায় যে তার স্ত্রীকে খুন করানোর জন্য সে টাকা দিতে না পারলেও তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে পারে। ওই মহিলা ভারত বাংলাদেশ বর্ডারে বাড়ি হওয়ায় অনেক ধরণের চোরা পাচার করতেন বলে জানা গিয়েছে। আর সেই সূত্র ধরেই ওই দুষ্কৃতী মহিলাকে একটি প্যাকেট পার করানোর কথা বলেন আর তখনই ওই মহিলাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করা হয় পাশের বাঁশবাগানে এমনই অভিযোগ। ওই এলাকা থেকেই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। এই খুনের ঘটনার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে।