ভারত বায়োটেক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার ডোজের পরীক্ষার অনুমতি পেল। নাকের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। ভারত বায়োটেককে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার ডোজের পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে।
জানা গেছে, নয়টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় হবে এই বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন জানিয়েছিলেন যে, করোনা ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ব্যবহার দেশে শুরু হয়ে যাবে খুব শীঘ্রই।
সূত্র মারফৎ চলতি মাসের গোড়াতেই জানা গিয়েছিল যে, ভারতে মার্চের মধ্যেই আসতে পারে ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিন সময়োচিত পরীক্ষা পর্বের পর ।
ইতিমধ্যেই যারা করোনা প্রতিরোধী কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছে হায়দরাবাদের এই ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি, এই বুস্টার ডোজের প্রস্তাব তাদের জন্য দিয়েছে।
জানা গেছে, এই ন্যাজাল ভ্যাকসিনের পরীক্ষা ৫ হাজার সাবজেক্টের ওপর করার লক্ষ্য নিয়েছে ভারত বায়োটেক। অর্ধেক হবে কোভিশিল্ড টিকা প্রাপক ও বাকি অর্ধেক হবে কোভ্যাক্সিন টিকা প্রাপক এই পাঁচ হাজার সাবজেক্টের মধ্যে। সূত্রের খবর, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের মধ্যে ব্যবধান হবে ছয় মাস। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তাদের ইন্ট্রান্যাজাল বুস্টার ডোজের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার অনুমতি চেয়েছিল এর আগে ভারত বায়োটেক।
শিশুদের নাকের মাধ্যমে প্রয়োগের সুবিধাযুক্ত এই ভ্যাকসিনে সময় সুবিধা হবে। শিশুদের টিকাকরণের সময় ইঞ্জেকশন নেওয়ার ভয় থাকবে না এ ধরনের টিকার ডোজ এলে। বর্তমানে করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমেই। সবচেয়ে বড় কথা, এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ও সংক্রমণ দুটি রোখার ক্ষেত্রে কার্যকরী। কারণ, ইঞ্জেকশেন দিতে হয় না এই টিকা ব্যবহারের জন্য। সূত্রের খবর, মোট যথাক্রমে ৪০০ ও ৬৫০ জনের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডিসিজিআই কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড-এই দুটি করোনা টিকাকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য শর্তসাপেক্ষে খোলা বাজারে নিয়ে আসার অনুমতি দিয়েছে জরুরি পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য।