খুব শুস্ক আবহাওয়া থাকে শীতকাল আসলেই। যার প্রভাব পরে আমাদের শরীরের উপরেও। শীতকালে আমরা ত্বকের পরিচর্যা করে থাকি কিন্তু চুলের পরিচর্যা সেভাবে করতে পারিনা। আর শীতকালের এই শুস্ক আবহাওয়া তে যদি চুলের পরিচর্যা না করি তবে খুশকির সমস্যা প্রবল ভাবে শুরু হতে থাকে। এই সমস্যা থেকেই এবার মুক্তি পেতে পারেন যদি চুলের কিছু পরিচর্যার উপায় মেনে চলেন। আসুন জেনে নেই কিভাবে খুশকির থেকেই মুক্তি পেতে পারবেন।
১. শুরু তেই বলে নেই যে শুধু ত্বকের নয় চুলের জন্যও ময়েশ্চারাইজেশন প্রয়োজন তাই প্রতিদিন তেল দেওয়া দরকার। সপ্তাহে তিন দিন চুলে তেল দিন যদি প্রতিদিন দেওয়া সম্ভব না হয়।
২. সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু চুলের পরিচর্যার জন্য ব্যবহার করুন। এটি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে প্রাকৃতিক ভাবে চুল ও মাথার ত্বকে হাইড্রেট করে। তাই ঠিক কোন শ্যাম্পু এই সময় ব্যবহার করছেন সেইটা ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত।
৩. সপ্তাহে একদিন করে হেয়ার মাস্কের ব্যবহার করুন ময়েশ্চার করতে। এটি সাহায্য করে চুলকে নরম এবং মসৃণ রাখতে। যদি মনে হয় বাজার থেকে হেয়ার মাস্ক কেনা সাধ্যের বাইরে তাহলে হেয়ার মাস্ক বাড়িতেই বানিয়ে নিন। একসঙ্গে ডিম ,টকদই এবং সামান্য নারকেল তেল গরম করে মিশিয়ে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। হালকা শ্যাম্পু দিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৪. ব্যবহার করতে পারেন হালকা এক্সফলিয়েশন চুলের জন্য। এটি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে মাথার ত্বককে। তাই চুলের বৃদ্ধি হতে সুবিধা হয়।
৫. কখনই মাথায় গরম জল দেওয়া উচিত নয় যতই ঠান্ডা পড়ুক। কারণ সমস্ত রকম চুলের যত্ন ভেস্তে যেতে পারে গরম জলে। চুলকে আরও শুষ্ক ও রুক্ষ্ম করে তোলে গরম জল।
অবশ্যই মনে রাখুন
১. শীতকালে বাইরে যাওয়া কখনই উচিত নয় ভেজা চুল নিয়ে।
২. স্ট্রেটনার,হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার রোলার এই ধরণের স্টাইলিং টুল ব্যবহার করলে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শুষ্ক হয়ে যায় চুল।
৩. ধুলোর পরিমাণ বেশি যেহেতু শীতকালে। সে ক্ষেত্রে হালকা সুতির কাপড়ের মাথা ঢেকে বেরোন বাইরে বের হওয়ার আগে। তাতে ঘামেরও সৃষ্টি হবে না চুলে ধুলোও লাগবেনা।