মহাদেব কে নিজের স্বামী হিসেবে পেতে দীর্ঘ তপস্যা করেছিলেন পার্বতী দেবী। এই তপস্যার কথা অনেকেই জানেন কিন্তু এই তপস্যার পর যে কি কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে পার্বতী দেবী তা কেউই জানেন না।
পুরাণ অনুযায়ী শিব পার্বতীর কাহিনী বেশ রোমাঞ্চকর। আসুন জেনে নেই সেই কাহিনী।
পুরাণে মতে, দেবাদিদেব দেবী পার্বতীর (Devi Parvati) পরীক্ষা নিয়েছিলেন। দেবী পার্বতী কঠিন তপস্যা করার পরও তাঁকে পরীক্ষা দিতে হয় বিয়ের আগে। প্রথমে দেবীর পরীক্ষা নেন। স্বর্গের দেবতারা পরীক্ষা নেওয়ার শেষে নিজেই দেবীর পরীক্ষা নিয়েছিলেন মহাদেব।
পৃথিবীলোকে সপ্তঋষিরা পৌঁছে গিয়ে মাতা পার্বতীর কাছে যান এবং তারা ভগবান শিবের নানা খারাপ গুন সম্পর্কে সেখানে গিয়ে বলতে থাকেন। মাতা পার্বতী তার সংকল্প থেকে নড়লেন না ঋষিদের এই সব কথা শুনেও তাঁর সাথে তিনি সপ্তঋষিদের বলেন যে তিনি ভগবান শিবকে বিয়ে করবে লক্ষ লক্ষ খারাপ গুন থাকলেও । মাতা পার্বতীর এই সব কথা সপ্ত ঋষিরা শুনে মহাদেবের কাছে গিয়ে জানান। তখন মহাদেব স্বয়ং নিজে সপ্ত ঋষিরা কথা শুনে মাতা পার্বতীর পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। মাতা পার্বতী তপস্যা করছিলেন যেখানে বসে ঠিক তার পাশের একটি পুকুর ছিল। মাতা হঠাৎ শুনতে পান বাচ্চার কান্না তপস্যার মধ্যে। কুমির ওই পুকুরের মধ্যে একটি বাচ্চাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে পৌঁছান দেবী বাচ্চার কান্না শুনে। বাচ্চাটিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কুমিরকে হাত জোড় করে অনুরোধ করেন। তখন মাতাকে শর্ত দেন কুমির। বলেন, যদি তাঁর তপস্যার ফল মাতা তাকে দিয়ে দেন, তবেই বাচ্চাটিকে (Children) ছেড়ে দেবে। মাতা নিজের তপস্যার ফল ত্যাগে রাজি হন অচেনা একটি বাচ্চার জন্য। ভগবান শিব (Shiv) মাতা পার্বতীর এই ত্যাগ দেখে প্রসন্ন হন। দেবীর সামনে জানান সে কথা উপস্থিত হয়ে। এরপর মাতা ভগবান শিবকে প্রণাম করেন।