সাধারণ লবণ সবাই ব্যবহার করে থাকেন। অধিকাংশ খাবারেই সাধারণ লবণ ব্যবহার করা হয়। তবে খুব কম সংখ্যক মানুষ বিট লবণ খেয়ে থাকেন। বিট লবণ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিজের অজান্তেই শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি মেলে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিট লবণ অনেক মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। অ্যাসিডিটি বা কোষ্ঠকাঠিন্যতা ও বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
বিট লবণ যাকে বলা হয়ে থাকে ‘রক সল্ট’ কিংবা ব্ল্যাক সল্ট’। যার আরেকটি নাম সুলেমানী সলন। এটি এক ধরনের খনিজ লবণ। সাধারণত বিটলভন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এর নিকটবর্তী হিমালয় লবণ সমৃদ্ধ থেকে মাটিতে নিচের পাথর আকারে উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও নেপালে এই লবন খনি আছে।সাধারণ লবনের মত এইখানেও সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে যা টক ভাব আনতে সাহায্য করে তবে, এর সাথে আরো যুক্ত হয় আইরন সালফাইট যা এর ধুসর রং আনতে সাহায্য করে আরেকটা হলো হাইড্রোজেন সালফাইট ,যা এর কটু গন্ধ আনার ক্ষেত্রে দায়ী !
ভারতের আয়ুর্বেদ চিকিৎসক আবরার মুলতানির মতে, বিট লবণ বা কালো লবণ গ্যাসের সমস্যা দূরে অনেক সহায়তা করে। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, অবসাদ এবং পেট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এই লবণ। এ জন্য প্রতিদিন সকালে গরম জলে বিট লবণ মিশিয়ে খাওয়ার ফলে শরীর সুস্থ থাকবে।
বিট বা কালো লবণের উপকারিতা : অনেকেই আছেন অনাকাঙ্ক্ষিত বেড়ে যাওয়া ওজন কমাতে চান। তাদের জন্য এই লবণ খুব সহায়ক। এই লবণে উপস্থিত খনিজগুলো অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে থাকে। ফলে শরীরে উপস্থিত বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এছাড়াও এ লবণে সোডিয়ামের উপাদান বেশি রয়েছে। তাই শরীর সতেজ ও চাঙা রাখতে বিট লবণ অনেক উপকারী।
হজমজনিত সমস্যা এবং শরীরের কোষে পুষ্টি সরবরাহ করে বিট লবণ। এমনকি স্থূলতা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে থাকে। পুষ্টি এবং খনিজ সমৃদ্ধ হওয়ায় নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের হাড় অনেক মজবুত থাকে।
এদিকে যারা সুগারের রোগী তাদের সাদা লবণের পরিবর্তে বিট লবণ খাওয়া উচিত। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে বিট লবণ।