আগ্রায় বেকারত্বের জ্বালা সইতে সইতে নিজেদের জীবন শেষ করে দিল একটি পরিবার। আত্মহত্যার আগে ছেড়ে যাওয়া নোটে দীর্ঘদিন বেকারত্বের কথা স্পষ্ট করে লেখা হয়েছে। জানা গিয়েছে হাউজিং ডেভেলপমেন্ট সেক্টর 10-এর বাসিন্দা সোনু শর্মা তার স্ত্রী গীতা শর্মা এবং তার মেয়ে সৃষ্টি শর্মার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরে এই দৃশ্য নজরে পরে তাদের ছোট ছেলের। ফোন করে সে তার মাসীকে জানায়, সবাই ঘরে ঝুলে আছে, তার ভয় করছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি লিখে রেখে যাওয়া নোট পাওয়া গেলেও পুলিশ এখনও পুরো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। তবে আগ্রার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ এই নোট সম্পর্কে তথ্য সংবাদ মাধ্যম কে দিয়েছেন। বর্তমানে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং নিহত সোনুর হাতের লেখার সঙ্গে সুইসাইড নোটের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখছে।
পুরো ব্যাপারটা কি:
ইডব্লিউএস বাড়ির নম্বর 1046-এ, ৩৮ বছর বয়সী সোনু শর্মা তার ৩৫ বছর বয়সী স্ত্রী মিথলেশ, ৯ বছরের মেয়ে সৃষ্টি এবং আরেক ৯ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়ির উপরের অংশে থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে পুরো পরিবার একই ঘরে একসঙ্গে ঘুমায়। সকাল সাতটার দিকে সোনুর ছেলে শ্যাম নিচে নেমে খেলতে থাকে।
সোনুকে পাড়ায় বসবাসকারী তার মাসী তাকে বাড়ি থেকে আটা আনতে বলে। সোনু তার বাড়িতে আটা আনতে যায় এবং ফিরে এসে জানায় তার বাবা, মা ও বোন ঘরে ঝুলে আছে। মৃত সোনুর শ্যালক বিজয় কাশ্যপ ও অন্যরা বাড়িতে পৌঁছে দেখেন তিনজনের মৃতদেহ ফাঁস থেকে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত লোকজন পুলিশকে খবর দেন।
এ ক্ষেত্রে এসএসপি প্রভাকর চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অত্যন্ত আবেগঘনভাবে ভাবে লেখা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে, নিহত ব্যক্তি গত অনেক দিন ধরে বেকার ছিলেন, তিনজন (স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ে) নিজেদের মধ্যে কথা বলে এই পদক্ষেপ নেন। নিহতের ছেলে সোনু জানান, সকালে খেলতে নেমে আটা সংগ্রহ করতে আসা তিনজনই ঝুলে পড়ে।