উত্তর দিল্লির বুরারি এলাকায় বান্ধবীর বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে জীবন শেষ করলেন এক মধ্যবয়সী ব্যবসায়ী। মৃতের নাম রণদীপ পাত্র (বয়স ৫৫ বছর)। পুলিশ নিহতের কাছ থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাহিত রণদীপ তার তরুণী বান্ধবীকে বুরারিতে থাকার জন্য আলাদা বাড়ি ভাড়া করে দিয়েছিলেন। রণদীপ তার সাথে এখানে মাঝে মাঝেই দেখা করতেন। কিছুদিন আগে সে জানতে পারে তার নেপালি বংশোদ্ভূত বান্ধবী বিয়ে করতে যাচ্ছে। শুনে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। শনিবার এই নিয়ে ফয়সালা করতে তিনি বান্ধবীর জন্য নেওয়া ভাড়া বাড়িতে পৌঁছন। বাদ বিবাদ চলতে থাকে। গভীর রাতে বান্ধবী রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। হতাশ হয়ে ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রণদীপ। বুরারি থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ী রণদীপ পরিবারের সঙ্গে রোহিণী এলাকায় থাকতেন। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে মারা গেছেন। তারা একটি বড় পারিবারিক লোহার ব্যবসা আছে। প্রায় আট বছর আগে, রণদীপের সাথে একটি ম্যাসাজ পার্লারে নেপালি বংশোদ্ভূত ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর দেখা হয়েছিল। এখন মেয়েটির বয়স ২৮ বছর। দুজনের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে এবং তারা দেখা করতে থাকে। বুরারি এলাকায় রণদীপ তাকে একটি বাড়ি ভাড়া করে দিয়েছিল। এখানে প্রায়ই দেখা হতো দুজনের। কিন্তু হঠাৎই মেয়েটির বিয়ে ঠিক হলো। এই বিষয়ে কানে আসা মাত্র রণদীপ খুব রেগে যায়। শনিবার রাতে তিনি তার অডি গাড়িতে মেয়েটির সাথে দেখা করতে বাড়িতে আসেন। গভীর রাতে বিয়ের কথা নিয়ে অশান্তি মাত্রা ছাড়ালে মেয়েটি ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পরে আবার মেয়েটি বাড়ির ভিতরে ফিরে যায়। এবং ভেতরের দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে যান। দেখেন ৫৫ বছর বয়সী রণদীপ গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছিল। মেয়েটি প্রথমে তার ভাইকে বিষয়টি জানায়। এরপর রণদীপের পরিবারকেও বিষয়টি জানানো হয়। রণদীপকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হয়েছে পুলিশের। পুলিশ তদন্তশুরু করে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের গাড়ি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।