রেললাইনের পাশে আনমনে খেলতে খেলতে অসাবধানতায় ঘটে গেছিল দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় জখম হয়ে পড়ে এক শিশুকন্যা ও কিশোর। জখম কিশোরের সারা মিললেও আহত শিশুকন্যার মধ্যে প্রাণের লক্ষণ ছিল না। দ্রুত কিশোরকে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আর ওই শিশু কন্যাকে দুর্ঘটনার কারণে মৃত ভেবে স্বজন ও পরিবারের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। শিশু কন্যা আর বেঁচে নেই এমনটা মনে করে সকলে তাকে ঘিরে কাঁদতে থাকে। এইভাবে যখন সকলে তাকে ঘিরে কান্নাকাটি করছিল তখন আচমকাই চোখ মেলে তাকায় সে। জলও খেতে চায়। সেই সময় বাড়ির লোক তড়িঘড়ি হসপিটালে নিয়ে গেলেও শেষ অব্দি দিয়ে অবশ্য বাঁচানো যায়নি তাকে। ৩ বছরের ওই বাচ্চা মেয়েটি জীবন যুদ্ধে হেরে যায়। তার নাম শ্রেয়া কোঁয়ার। পেশায় কৃষিজীবী উজ্জ্বল কোঁয়ারের একমাত্র মেয়ে শ্রেয়া।
বুধবার সন্ধ্যায় ঘটেছে এই ঘটনা। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার কুলচন্ডা গ্রামে ছড়ায় চাঞ্চল্য। ৩ বছরের শ্রেয়া তার পিসতুতো দাদার সঙ্গে খেলছিল যখন এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরের চিকিৎসা চলছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। যদিও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গ্রামের পুজো উপলক্ষে শ্রেয়ার পিসির পরিবার তার গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। বিকালবেলা দাদার সাথে শ্রেয়া বর্ধমান-কাটোয়া রেললাইনের একটি কালভার্টে উপরে খেলা করছিল। ফেরার সময় আজমকাই এসে পড়ে বর্ধমান কাটোয়া ডাউন ট্রেন। পুরোপুরি সরতে পারেনি শ্রেয়া ও শ্রেয়ার দাদা। মাথায় আঘাত লাগে তাদের।
৩ বছরের শ্রেয়া জ্ঞান হারালেও ক্রমাগত বমি করতে থাকে তার পিসতুতো দাদা। খবর ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা এসে তাদের উদ্ধার করে। কিন্তু শ্রেয়া অচৈতন্য থাকায় সে মারা গেছে মনে করে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় সকলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ঘন্টাখানেক পর হঠাৎই চোখ খোলে শ্রেয়া, জল খেতে চায়। সেই সময় তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে ছোট্ট শ্রেয়া ততক্ষণে।