বিহারের পশ্চিম চম্পারণ থেকে সামনে এসেছে এক মর্মান্তিক খবর। চম্পারণ জেলায় এক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে এক পরিবারে বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে একের পর এক তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে এইভাবে ৩ জনের মৃত্যুতে গ্রামে তোলপাড়। গোটা গ্রাম স্তম্ভিত। হঠাৎ এত বড় দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল তা কেউ বুঝতে পারছে না। তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে স্থানীয় পুলিশও। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীরাও ভিড় করে।
![](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220707-WA0028.jpg)
তথ্য অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক তারে ছোঁয়া লেগে তিনজনই প্রাণ হারিয়েছেন। বলা হচ্ছে, আচমকা হাই ভোল্টেজের জেরে ঘরে বিদ্যুতের তার পড়ে যায়। পরিবারের বাচ্চা ছেলেটি তখন ঘরে খেলছিল। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই শিশুটি তার হাতে তুলে নেয়। তা দেখে শিশুটির মা তাকে বাঁচাতে ছুটে গেলে তিনিও বিদ্যুৎপ্রবাহে জড়িয়ে পড়েন। তা দেখে শিশুটির দাদু দুজনকেই বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেন এবং তিনিও বিদ্যুতের সংস্পর্শে আসেন। এই দুর্ঘটনায় তিনজনই মারা যান। একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি যোগপট্টি থানা এলাকার রামপুরওয়া গ্রামের। ওই গ্রামের কিশোর সাহ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কিশোরের স্ত্রী সঞ্জু দেবী ও ৬ বছরের ছেলে ঝুন্না কুমার। সঞ্জু তার কাকা শ্বশুর জঙ্গী সাহকে খাবার খাওয়াচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ হাই ভোল্টেজ হয়ে ঘরের বৈদ্যুতিক তার খুলে যায়। খেলার সময় পাশেই পড়া বিদ্যুতের তার জড়িয়ে ধরেন শিশুটি। সঞ্জু তাকে বাঁচাতে গেলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। মা-ছেলেকে বাঁচাতে চাচাতো কাকা শ্বশুরও উঠে আসেন এবং তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজনই মারা যান।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর সর্বত্র হৈচৈ পড়ে যায়। কাঁদতে কাঁদতে পরিবারের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় গ্রামবাসী। ঘটনার খবর পেয়ে যোগপট্টি থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে মামলার তদন্তের পাশাপাশি মৃতদেহের ময়নাতদন্তের তৎপরতা শুরু করেছে। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জিএমসিএইচে পাঠানো হয়েছে।