মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দু’বেলা রিক্সা টেনে কোনও মতে দিন গুজরান মথুরার বাকলপুরের অমরকোলনির প্রতাপ সিংয়ের। নুন আন্তে পান্তা ফুরোনোর সংসার। এ হেন রিক্সাচালকের কাছেই ৩ কোটি টাকা জমার নোটিস ধরিয়েছে আয়কর দফতর। গত ১৯ অক্টোবর এ নোটিসের খবর পেয়েই মাথায় হাত মধ্যবয়সী প্রতাপের।
আয়কর দফতরে গিয়ে নিজের অবস্থার কথা বলেছেন ওই রিক্সাচালক। এরপরও জটিলতা কাটেনি। আয়কর দফতরের আধিকারিকদের পরামর্শে স্টেশন হাউস থানায় গিয়ে প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তবে, কোনও মামলা রুজু হয়নি, প্রতাপের করা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ, জানিয়েছেন স্টেশন হাউস থানার অফিসার অনুজ কুমার।
ইতিমধ্যেই রিক্সাচালক প্রতাপ সিং সোশাল মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্য জানিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। সেখানে তিনি বলছেন, চলতি বছর ১৫ মার্চ তেজ প্রতাপ উপাধ্যায়ের জনসেবা সুবিধা কেন্দ্রে আধার কার্ড তৈরির জন্য আবেদন করেছিলেন। ব্যাঙ্কের চাহিদার ভিত্তিতেই আধার কার্ড করানোর উদ্যোগ নেন ওই রিক্সাচালক।
এর বেশ কিছুদিন বাদে বাকলপুরের সঞ্জয় সিং নামে এক ব্যক্তি (খবরের সত্যতা দৈনিক সংবাদ বিচার করেনি) রিক্সাচালক প্রতাপ সিংকে প্যান কার্ডের একটি রঙিন কপি দেন। যা পেতে তিনি হন্যে হয়ে তিন মাস এ দরজা থেকে সে দরজায় ঘুরেছেন বলে ভিডিওতে দাবি করেছেন। কিন্তু, নিরক্ষর হওয়ায় প্রতাপ আসল ও নকল প্যান কার্ডের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেননি।
রিক্সাচালকের দাবি, চলতি মাসের ১৯ তারিথ তাঁর কাছে আয়কর দফতরের নোটিস আসে। যেখানে তাঁকে ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৯৬ টাকা টাকা জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপরই শোচনীয় অবস্থা প্রতাপ সিংয়ের। সমস্যা সমাধানে সে সোজা পৌঁছে যায় আয়কর অফিসারদের কাছে। সেখানেই প্রাথমিকভাবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। রিক্সাচালকের দাবি, আয়কর অফিসাররা তাঁকে জানিয়েছেন যে কেই তাঁর প্যান কার্ডের সঙ্গে জিএসটি ম্নবর অ্যাটাচ করে দিয়েছে। ওই ব্যবসায়ী ২০১৮-১৯ সালে ৪৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ২০১ টাকার লেনদেন করেছে। আয়কর অফিসাররাই ওই রিক্সাচালককে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন। জানান সে প্রতারণার শিকার।