প্রেমের ব্যাপারে এটা ঠিকই বলা হয় যে প্রেম অন্ধ। প্রেম বয়স বা চেহারা দেখে হয় না। জামুইতে একই রকমই এক প্রেমের গল্প সামনে আসে যখন একজন নাবালক কিশোর তার প্রেমিকা এক বিবাহিত মহিলার সাথে দেখা করতে জেহানাবাদ থেকে জামুই বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছয়। কিন্তু প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসা প্রেমিকের জন্য যে এরম বিপত্তি ডেকে আনবে কে ভেবেছিল।
১৫ বছর বয়সী একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ পরিচয় হওয়ার পর জামুইয়ের একটি গ্রামে বসবাসকারী দুই সন্তানের মায়ের প্রেমে পড়ে। দুজনের মধ্যে মোবাইল নম্বরও আদান-প্রদান হয় এবং দুজনের মধ্যে প্রেমের কথাবার্তা শুরু হয়, তাও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে।
রাতারাতি এই প্রেম এত গভীর হয়ে দাঁড়ায় যে দেখা করার ইচ্ছা বেড়ে যায়। রাতারাতি জেহানাবাদ থেকে জামুই পৌঁছায় ওই নাবালক কিশোর। জেহানাবাদ থেকে ট্রেনে জামুই স্টেশন ও পরে সন্ধ্যায় বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছায়। বধূর স্বামী ছেলেটির বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে মামার এক আত্মীয়। এই পরিচয় ওই কিশোর কে বাড়িতে রাখে ওই মহিলা।
ভোরে দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই মহিলার স্বামী। তারপর মহিলার স্বামীর চিৎকার চেঁচামেচি তে গ্রামবাসীর ভিড় জড়ো হয় এবং তারপর মহিলার স্বামী তাদের দুজনকেই বেধড়ক মারধর করে। মারধরের সময় মহিলা তার প্রেমিককে বাঁচার চেষ্টা করলেও দুজনেই আহত হন।
নাবালক প্রেমিকের পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানো নিয়ে গ্রামে পঞ্চায়েত বসে। এরপর প্রধানের অনেক চেষ্টার পর দুজনকেই উদ্ধার করা হয় এবং খবর দেওয়া হয় কিশোর প্রেমিকের পরিবারের সদস্যদের। ছেলেটির পরিবারের সদস্যরা জামুই পৌঁছে ছেলেটিকে তাদের সাথে জেহানাবাদে নিয়ে যায়। জানিয়ে রাখা যাক ওই মহিলা ২ সন্তানের মা। ও নাবালক কিশোর ইন্টারের ছাত্র। যিনি জেহানাবাদের একটি গ্রামের বাসিন্দা এবং জেহানাবাদে পড়াশোনা করেন। প্রেম রাজের নামে ফেসবুক আইডি চালান ওই নারী। তিন মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। নাবালক বলেন, তিনি জানতেন না যে প্রেমিকা দুই সন্তানের মা।