শিশু মনস্তত্ত্বে কোন ঘটনার প্রভাব গভীরভাবে পরে তা কেউ বলতে পারে না। এর থেকে তারা এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসে যা দেখলে অবাক হতে হয়। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যার বিষয়ে বলতে গেলে মর্মান্তিক বললেও কম বলা হয়।
সরপুর থানা এলাকার জুগৌর গ্রামে সম্প্রতি সরকারি স্কুলের টয়লেটে এক বছরের একরত্তি এক শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে ১৩ বছর বয়সী নাবালক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে হাজির করা হবে।
বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিতেই হত্যা করা হয়েছে:
লখনউয়ের সাইরপুর থানায় ১ বছরের একরত্তি শিশু কন্যাকে খুনের ঘটনায় ১৩ বছরের নাবালক ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালক তার বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। সেজন্য ফিল্মি স্টাইলে মেয়েটিকে মেরে স্কুলের জলে ট্যাঙ্কের ভেতরে ফেলে দেয় সে। মেয়েটির শরীর যাতে ভেসে উঠতে না পারে তাই পায়ে ইট বেঁধে রেখেছিল অভিযুক্ত নাবালিক।
তথ্য অনুযায়ী, সাইরপুর থানার জুগৌর গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সুশীল পাণ্ডের এক বছরের মেয়ে। পুলিশে অভিযোগ জানান সুশীল। এরপর মেয়েটিকে সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। তদন্তে নেমে জানা যায়, দুই নাবালক ছেলে মেয়েটিকে স্কুলের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ স্কুলে তল্লাশি চালালে শৌচাগারের জলের ট্যাঙ্কের ভিতরে পড়ে থাকতে দেখা যায় মেয়েটির মৃতদেহ। মেয়েটির পা একটি ইট দিয়ে বাঁধা ছিল এবং তার শরীরে কোন কাপড় ছিল না।
পুলিশ জলের ট্যাঙ্ক থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর রহস্য উদঘাটন করে। পুলিশ জানিয়েছে তাদের তদন্তে উঠে এসেছে যে, ১৩ বছরের এক নাবালক ওই বাচ্চা মেয়েটিকে হত্যা করেছে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকারী নাবালক একজন মাদকাসক্ত এবং প্রায়ই মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে। তার পরিবারের সদস্যদের কাছেও একাধিকবার এই নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। ডিসিপি নর্থ জোন এস চিনপ্পা জানিয়েছেন, শিশুটিকে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত নাবালক তার বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিতেই নাকি এই হত্যা করেছে। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং শীঘ্রই তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে আনা হবে।