আবারও দিল্লীতে সামনে এলো ধর্ষণের ঘটনা। যা প্রশ্ন তুলে দিল খোদ রাজধানীর বুকে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে। সামনে এসেছে দিল্লীর এক মসজিদে এক ১২ বছরের কিশোরীকে সেই মসজিদেরই এক ধর্মগুরুর দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা।
এই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার, ৩১শে মে সেই অভিযুক্ত ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ধর্মগুরুর বয়স প্রায় ৪৮, তিনি বিবাহিত এবং চার সন্তানের পিতা । তিনি রাজস্থানের ভরতপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে দিল্লী পুলিশ তাকে দিল্লীর গাজিয়াবাদের লোনি এরিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
মসজিদের ধর্মগুরুর এই গ্রেফতারির সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘অভিযুক্ত ধর্মগুরু কে গ্রেফতার করার পর তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।’’
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, দিল্লীর পুলিশ অভিযুক্ত ধর্মগুরু কে আদালতে পেশ করেছে। আদালত থেকে অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
দিল্লী পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার ১২ বছরের ওই নাবালিকা জল চেয়ে খেতে গিয়েছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লির ওই মসজিদে। ওই সময়ই তাকে একলা পেয়ে অভিযুক্ত ধর্মগুরু নাবালিকা কে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা নাবালিকা নিজের বাড়িতে ফিরে বাবা-মাকে ঘটনার কথা জানায়। এর পরই রবিবার রাতে তার বাবা মা অভিযোগ দায়ের করে থানায়। পরদিনই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণে অভিযুক্ত ধর্মগুরু কে গ্রেফতার করে পুলিশ।