Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

দোলনায় দুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত মর্মান্তিক পরিণতি ছোট্ট মেয়ের! হাহাকার পরিবারের

রোজকার মতই দোলনায় দুলছিল বাড়ির ছোট্ট মেয়েটা। সেই সময়ে সকলে ব্যস্ত বাড়ীর নানা কাজে। হঠাৎই স্তব্ধ হয়ে গেল দোলা। দীর্ঘক্ষণ নেই মেয়েরও কোনো সাড়াশব্দ। মা ডেকে মেয়ের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে উঠে দেখতে যান। আর তারপরেই যা দেখলেন তাতে স্তব্ধ হয়ে গেলেন তিনি। দোলনার দড়ির ফাঁসেই মেয়ের গলাটা আটকে গিয়েছে। দেহে আর প্রাণ নেই তার। প্রাণহীন ছোট্ট মেয়ের দেহ ধরে বুক ফাটা হাহাকারে , কান্নায় ভেঙে পড়ল পুরো পরিবার। রবিবার এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম এলাকায়।

জানা গিয়েছে, বাড়িতে ঝোলানো একটি দোলনার দোলার সময় অসাবধানতাবশত দোলনার দড়ি গলায় আটকে যায় পঞ্চম শ্রেণিতে পাঠরত ছাত্রী অন্নপূর্ণা প্রামাণিকের। শ্বাস রোধ হয়ে মৃত্যু হয় বছর এগারোর মেয়েটির। স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস ফাইভের ছাত্রীর এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে কার্যত কেতুগ্রামের আনখোনা পঞ্চায়েতর মরুডাঙ্গা গ্রামে কারো মুখে বাক্য সরছে না।

মাটির দোতলা বাড়ি লক্ষ্মণ প্রামাণিকের। সেই বাড়ীর দোতলার ঘরে মেয়ের দোল খাবার জন্য দোলনা লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাবা। প্রতিদিনই স্কুল থেকে ফিরে সেখানে দোলনায় দোল খেত মেয়ে অন্নপূর্ণা। রবিবার দুপুরবেলা স্নান করে সেই দোলনা লাগানো ঘরে দোতলার ঘরে উঠে যায় অন্নপূর্ণা। নিচের ঘরে তখন কাজে ব্যস্ত অন্নপূর্ণার বাবা ও মা। অনেক সময় পার হয়ে গেলেও মেয়ের কোনো সাড়া না পেয়ে মা চন্দনা প্রামানিক দোতলার ঘরে যান মেয়েকে দেখতে। দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেন তিনি। দেখেন দোলনার দড়িতে কিভাবে যেন লেগে গেছে গলায় ফাঁস! মেঝে থেকে অল্পই উপরে মাথাটা নিচু হয়ে ঝুলে গেছে মেয়ের। দিশেহারা অবস্থায় চিৎকার করে ওঠেন তিনি। বাবা লক্ষ্মণ প্রামাণিক ও আশে পাশের বাড়ির লোকেরা ছুটে এসে অন্নপূর্ণাকে দেখতে পেয়ে তাকে দোলনা থেকে নামিয়ে প্রথমে কাছের কাঁদরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও তারপরেই কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। গলায় ফাঁস লাগার কারণে অন্নপূর্ণাকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসার অল্প সময়ের মধ্যেই মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় মৃত্যু হয় ১১ বছরের অন্নপূর্ণা। কিভাবে মৃত্যু হল খতিয়ে দেখতে সোমবার অন্নপূর্ণার দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।

ঘটনায় শোকস্তব্ধ ছোট্ট মেয়েটির বাবা মা যেন মানতেই পারছেন না এই ঘটনা। বিশেষত বাবা লক্ষ্মণ প্রামাণিকের হাহাকার যেন থামতেই চাইছে না। তিনি যে নিজের হাতে করে দোলনা লাগিয়ে দিয়েছিলেন আদরের মেয়ের জন্য। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, “মেয়েটা আমার ওই দোলনায়তেই বসে আছে শুধু প্রাণটাই নেই গো। কেউ কিছু বুঝতে পারিনি”

Related posts

দেড় থেকে তিনদিনের মধ্যে দ্বিগুণ হচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা! গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু?

News Desk

মহাভারতের গান্ধারীর অভিশাপেই আজ চরম দুর্দশার পথে আফগানিস্তান! পুরাণে রয়েছে বর্ণিত

News Desk

মিথ্যা বলছে কিনা যাচাই করতে ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে চোবানো হল নাবালিকার হাত

News Desk