ব্যাঙ্কে একটা অ্যাকাউন্ট আছে। তাতে মোটামুটি একটা ব্যালেন্স থাকে আপনার। কিন্তু ধরুন একদিন সকালবেলা আপনার কাছে ব্যাংক থেকে একটি মেসেজ এলো। আর সেই ম্যাসেজ খুলেই চক্ষু ছানাবড়া আপনার। দেখলেন রাতারাতি এক্কেবারে কোটিপতি হয়ে গেছেন আপনি। চমকে যাবারই কথা। ঠিক এমনটাই হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার চন্দ্রকোণা রোডের বাসিন্দা শান্তনু মণ্ডলের সাথে। এমনটা হল কিভাবে আর কি করনীয় এখন এই ভেবে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে ওই যুবক এবং তাঁর পরিবার। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
জানা গেছে কয়েক বছর আগে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (State Bank Of India) দামোদরপুর শাখায় নিজস্ব একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন শান্তনু মণ্ডল। যদিও তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কখনোই খুব বেশি টাকা থাকতো না। মেরে কেটে ৫ হাজারের মতন টাকা থাকতো আর সেটাই তার সম্বল। গত ৬ নভেম্বর শান্তনুর ফোনে হঠাৎই ব্যাংক থেকে একটি এসএমএস আসে। ওই এসএমএস দেখে শান্তনু জানেন যে তাঁর অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি টাকা ঢুকেছে। এমনটা সম্ভব কিভাবে তাই নিয়ে তোলপাড় করে ভেবেও কিনারা করতে পারেনা শান্তনু বাবু। এই ডামাডোলের মধ্যেই ব্যাঙ্ক থেকে আরেকটি মেসেজ পান শান্তনু।
এরপরই ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করেন শান্তনু মণ্ডল। অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো টাকা তিনি তুলতে পারেননি। তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন ওই যুবক। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে জানান যে তাঁর অ্যাকাউন্টটি ব্লক হয়ে গিয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি, আচমকা এই দশ কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার ফলে আপাতত ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে আর কোথা থেকে এত টাকা এল অ্যাকাউন্টে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনায় হতচকিত শান্তনু। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শান্তনু মণ্ডলকে পরামর্শ দেয় পুলিশে অভিযোগ জানানোর। আইনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন শান্তনুও। আচমকা অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যাওয়ায় নিজের সম্বল যেটুকু সেই টাকাও তুলতে পারছেন না তিনি। আপাতত সে কারণেই সমস্যায় পড়েছেন শান্তনু।