একটা সময় পর্যন্ত মহাকাশে রকেট পাঠানো নিয়ে প্রতিযোগিতা মূলত ছিল রাশিয়া (তৎকালীন নাম সোভিয়েত ইউনিয়ন) ও আমেরিকার মধ্যে। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে পিছিয়েথাকতেচাইছে না অনেক দেশই। কিন্তু এই ব্যাপারে সব থেকে মরিয়া হয়েছে চীন। ভারত আর অন্যান্য বাকি দেশকে সরিয়ে বিশ্বের মহাকাশ গবেষণার দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলির মধ্যে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া বেজিং। শোনা যাচ্ছে বেশ কিছু বড়সড় পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর সাথেসাথে চীনের প্রথম স্পেস স্টেশনও বানানোর ও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এরই সাথে এও শোনা যাচ্ছে, অত্যন্ত ক্ষমতাযুক্ত একটি স্পেস টেলিস্কোপও পৃথিবীর কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করতে চলেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। যা শুধু মাত্র হাবলস (Hubble telescope) টেলিস্কোপের সমকক্ষই হবে না, তাকেও বহুগুণে ছাপিয়ে যাবে বলে দাবি!
সম্প্রতি এক চিনা সংবাদ মাধ্যম দাবি করে যে, সম্ভবত ২০২৪ সালে ওই ‘শক্তিশালী চাইনিজ স্পেস স্টেশন টেলিস্কোপ’ অন্তরীক্ষে পৌঁছবে। এই টেলিস্কোপটিকে চীনে ‘জুনশিয়ান’ নামে ডাকা হচ্ছে। যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ‘স্বর্গের নজরদারি’। এই টেলিস্কোপের মধ্যে থাকবে ৬.৬ ফুট অর্থাৎ ২ মিটার ব্যাসের এই লেন্স যা হাবলস টেলিস্কোপের সমান। কিন্তু অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী এই টেলিস্কোপের নজরদারির ক্যামেরার ক্ষেত্র হবে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন পিক্সেল যা ৩১ বছরের পুরনো টেলিস্কোপ হাবলসের থেকে অনেক বেশি। সুত্র অনুযায়ী মহাকাশে ভেসে বেড়ানো বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তুর মধ্যে ‘ডার্ক ম্যাটার’ এবং ‘ডার্ক এনার্জি’র সন্ধান করবে চীনের টেলিস্কোপটি। অনুসন্ধান করার চেষ্টা করবে ব্রহ্মাণ্ডের নানা রহস্য। যা থেকে ভবিষ্যৎ মহাকাশ বিজ্ঞানের নয়া পদক্ষেপের অনুসন্ধান মিলতে পারে।