প্রেগন্যান্সির সময় সেক্স ভাল না খারাপ তা নিয়ে দোনামনায় ভোগেন প্রায় সব মহিলাই। অনেকেই মনে করেন এই সময় সেক্স ডেকে আনতে পারে নানা সমস্যা। কিন্তু সত্যিই কি তাই? কি বলছেন বিশেষজ্ঞেরা….
তবে চিকিত্সকরা কিন্তু জানাচ্ছেন এর কোনও ভিত্তি নেই। প্রেগন্যান্সিতেও বজায় রাখতে পারেন নিয়মিত সেক্স লাইফ। এতে ক্ষতির সম্ভাবনা তো নেই, বরং আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে সেক্স।
অনেক গর্ভবতী মহিলা ভাবেন যে গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে গর্ভপাত হতে পারে। গর্ভপাত হল গর্ভাবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়া, যা গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের মধ্যে ঘটতে পারে, অর্থাৎ গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে। সমগ্র গর্ভাবস্থার প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশই গর্ভপাতে শেষ হয়। এমনকি বেশিরভাগ মহিলা বুঝতেও পারেন না যে তারা গর্ভধারণ করেছিলেন এবং গর্ভপাত করেছিলেন। তবে যৌনতা এর কারণ নয়, সবসময় নয়। গর্ভবতী মহিলা এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পরিকল্পনা করেন, তবে তিনি সন্দেহ করতে পারেন যে এর ফলে গর্ভপাত হতে পারে। তবে এটি সত্যি নয়। যৌন মিলনের পরে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। ক্রোমোসোমাল অস্বাভাবিকতার কারণেই সাধারণত গর্ভপাত ঘটে।
প্রেগনেন্সির সময় হবু মায়ের শরীরের নানা পরিবর্তন হতে থাকে। মনে আসে নতুন আবেগ। শরীর মন জুড়ে আসে নানা পরিবর্তন। প্রধানত হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই শরীর এবং মনের এই পরিবর্তন হয়। রক্ত চলাচলের গতি বাড়ে। স্তনের আকার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে খিদে।
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে যৌন আকাঙ্খা অনেকটাই কমে যায়।
দশ সপ্তাহ নাগাদ বৃদ্ধি পাওয়া হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে। এর ফলে ক্লান্তি এবং বমিভাব কমতে থাকে। ফলে শরীরের অস্বস্তিও কমে। এই সময় ধীরে ধীরে সেক্স ড্রাইভ বাড়তে থাকেI শরীরের উত্তেজনা বাড়ে এবং শক্তিও বৃদ্ধি পায়। অনেক গর্ভবতী মহিলারই এই সময় কামশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তা সাধারণত প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সময়ের মধ্যেই হয়ে থাকে। যৌনাঙ্গের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় যোনিদেশের লুব্রিকেশন বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকের পরামর্শ এবং সাবধানতা মেনে সেই সময় যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হওয়াই যায়। এই সময় যৌনসঙ্গমে মানসিক এবং শারীরিক সুখ মেলে।