Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
স্বাস্থ্য

ওষুধ ছাড়াই জ্বর, সর্দি, কাশি তে এই সব ভেষজই আপনার শরীরে প্রাকৃতিক আন্টিবায়োটিকের কাজ করবে

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসঘটিত রোগ প্রতিহত করতে প্রয়োজন অ্যান্টিবায়োটিক। তবে উঠতে-বসতে এত ওষুধ খাওয়া মোটেই হিতকর নয়। ন্যাচারাল উপায়ে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। কোন কোন ভেষজে রয়েছে সেই গুণ? জানুন কি বলছে  আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ রা।

বাইরে থেকে ভাইরাস ,ব্যাকটিরিয়া যখন শরীরে প্রবেশ করছে, তখন তাকে বধ করতে অ্যান্টিবায়োটিকই (Antibiotic) একমাত্র হাতিয়ার। তবে এতে এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে ইনফেকশন কমলেও । তাই যদি এই ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়াকে প্রাকৃতিক উপায়ে মেরে ফেলা যায়, তবে শরীরে তার প্রভাব স্বাস্থ্যকর। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্য বলছে, অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট সেবনের দরুণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভোগেন ১০ জনের মধ্যে একজন । কারও অ্যালার্জি, কারও আবার হজমের সমস্যা। বেশ কিছু ভেষজ রয়েছে, যেগুলি সারাবছর খেয়ে যেতে পারলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, আর কিছু রয়েছে রোগ বিশেষে দারুণ কাজ করে, আয়ুর্বেদ মতে ।

জ্বর-সর্দি-কাশি:

তুলসী– বিশেষ ধরনের অ্যালকালয়েড বা উপক্ষার যা জ্বর, সর্দিতে দারুণ কাজ দেয় তুলসীপাতায় উপস্থিত থাকে । উষ্ণ বীর্য উপাদান সমৃদ্ধ তুলসীপাতা, অর্থাৎ শরীরে শ্লেষ্মাবিনাশে উপকারী।

বাসকপাতা– শুকনো কাশি কমাতে, জমে থাকা কফ বের করে দেয়, কাশির সঙ্গে রক্তপাত হলে তা নিরাময়ে বাসকপাতার রস বা পাতা ফোটানো জল খুবই উপকারী। লিভারের জন্যও খুব ভাল।

দারুচিনি– কোভিড প্রতিহত করতে আয়ুশ ক্বাথের একটি অন্যতম উপাদান হল দারুচিনি। শুধু কোভিড নয়, যে কোনও রোগজীবাণু প্রতিহত করতে পারে। শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ বিনাশে কার্যকর। সরাসরি জীবাণুকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে।

লবঙ্গ– দাঁত ও মাড়ির ইনফেকশন কমায়। গলাব্যথা বা গলায় ব্যাকটিরিয়াল ইনফেকশন হলে তা প্রতিহত করে। গলাব্যথা, টনসিল বা ফ্যারিনজাইটিস, ল্যারিনজাইটিসের সমস্যায় উপশম দেয়।

পিপুল– এটি ইমিউনো মডিউলেটর। এই ফলে উপস্থিত ‘পাইপারিন’ উপাদান অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল। গলা, ফুসফুসের সংক্রমণ বিনাশ করতে কাজ করে। পিপুল চূর্ণ অল্প মাত্রায় মধু দিয়ে দিনে দু’বার খেলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

গোলমরিচ– যে কোনও ব্যাকটিরিয়াল ইনফেকশন কমায়। জ্বরনাশক।

পেট ভাল রাখতে

কালমেঘ– জ্বরও কমায়। কালমেঘ পাতা লিভারের জন্য যেমন ভাল পাশাপাশি পেটের যে কোনও সংক্রমণ প্রতিহত করতে কার্যকর।

থানকুনি পাতা– শিশুদের ক্ষেত্রে থেঁতো করে হাফ চামচ রস এই ধরনের সমস্যা দারুণ কাজ করে। আমাশয়, জিয়ার্ডিয়ার জীবাণু মারতে সাহায্য করে। রোজ এই পাতা ১০টি চিবিয়ে খান।

বিড়ঙ্গ– শরীরের যে কোনও ধরনের রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারে। এই বীজের চূর্ণতে উপস্থিত অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। গরম জলে বিড়ঙ্গ চূর্ণ দিয়ে পান করুন।

হরিতকী– পেটের মধ্যে জমে থাকা বায়ু বের করে দিতে পারে। পেট ফাঁপা কমাতে অতি কার্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। পেটের নানা রকম জীবাণুনাশ করতে সক্ষম। হজমশক্তি ঠিক রাখে ও শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরম জলে হরিতকী গুঁড়ো দিয়ে রাতে পান করুন।

পলাশবীজ– পলাশফুলের বীজও অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ভেষজ। ছোট চামচে এক চামচ করে প্রাপ্তবয়স্করা দিনে দু’বার খেলে উপকার মিলবে। ডায়েরিয়া বা পেটের যে কোনও ইনফেকশন প্রতিহত করে।

Related posts

ডায়াবেটিস থাকলেও মিষ্টি খেতে পারেন, জানুন কিভাবে :

News Desk

চিকেনের মেটে বা যকৃৎ রান্না করে খাওয়া কি আমাদের শরীরের জন্য অপকারী? জেনে নিন

News Desk

দাঁত মাজার সময় এই সব ভুল ভ্রান্তি করছেন না তো। সাবধান হয়ে যেতে পারে মারাত্বক ক্ষতি

News Desk