সারা দেশে করোনা টিকাজনিত সঙ্কটের মাঝেই তৃতীয় ধাপে ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে গোটা দেশে। কিন্তু, টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করার জন্য যে অ্যাপ ব্যাবহার হয়, সেই কোউইন অ্যাপে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকায় নাম নথিভুক্তির সময় অনেকই নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। এই কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে ব্যবহার হওয়া পোর্টাল টি ঠিক মতন কাজ করছে না বলে অভিযোগ আসছে।
তাই টিকার জন্য নাম নথিভুক্তকারী দের কথা মাথায় রেখে তাই সরকার কোউইন অ্যাপের ব্যবহার বিধি এবং টিকাকরণের ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনার কথা ভেবেছে।
অনেক ক্ষেত্রে যেখানে কোনো টিকা প্রাপক ভ্যাকসিনের জন্য স্লট বুক করেও কোনও কারণ বশত ভ্যাকসিন নিতে যেতে পারলেন না তাঁদের ফোনেও এসএমএস আসছে যে তার প্রথম ডোজের টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। খোঁজ করে দেখা গিয়েছে, যিনি টিকা প্রদান করছেন তিনি ভুলবশত সেই টিকা প্রাপকের তালিকায় নাম এন্ট্রি করে দিচ্ছেন এই পোর্টালে। ফলে টিকা না নিয়েও বহু মানুষের কাছেই এসএমএস আসছে যে তার টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
ঠিক এই কারণেই যাতে ভবিষ্যতে এই অনিচ্ছাকৃত ভুল এড়াতে চার সংখ্যার ওটিপি বা সিকিওরিটি কোড প্রাপকের মোবাইল নম্বরে পাঠানো শুরু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, অর্থাৎ ৮ মে থেকেই টিকাকরনের এই নতুন পদ্ধতিতে স্লট বুক হওয়ার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রাপকের মোবাইলে চার সংখ্যার একটি ডিজিট চলে আসবে।
এতদিন স্লট অনুযায়ী পৌঁছে গেলেই টিকা নেওয়া হয়ে যেত। কিন্তু এখন থেকে টিকা পেতে গেলে সেই চার সংখ্যার ওটিপি বা সিকিওরিটি কোডও সাথে রাখতে হবে প্রাপককে। টিকা দেওয়ার আগের মুহূর্তে টিকাপ্রদানকারী স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর কাছে ওই ওটিপি অর্থাৎ সিকিওরিটি কোড জানতে চাইবেন। সেই চার সংখ্যার ডিজিট তিনি কোউইনের পোর্টালে ওই নম্বর এন্ট্রি করবেন এবং তা ম্যাচ করলে তবেই টিকা পাওয়া যাবে। যারা টিকাকরণের জন্য অনলাইনে স্লট বুক করবেন, তাঁদেরকেই এখন থেকে এই নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।