হৃদরোগ , এই নামটি শুনলেই মানুষের দুশ্চিন্তার সূচনা ঘটে। এ এমন এক নাম , যতই চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হোক না কেন হৃদরোগের সমাধান খুজে পেতে বিপাকে পরতে হয় মানুষকে আজও । তাই এই বেহাল হৃদরোগের হাল সামলাতে হলে যা কিছু এই রোগ সংক্রান্ত প্রশ্ন আছে তার উত্তর খুজে যেতে থাকি আমরা । আপনার কখন সাবধান হতে হবে অথবা চিকিৎসার দিকে কিভাবে এগোতে হবে তা বিশিষ্ট চেস্ট ফিজিশিয়ান দ্বারা জানতে চলেছি । কি তার মতামত তা জেনে নেই:
প্রশ্ন :
কোনও লক্ষন আছে কি হার্ট অ্যাটাকের ? কি করে বুঝবেন আপনার বা আপনার সামনে থাকা মানুষটির হার্ট অ্যাটাক হয়েছে ? কোন কোন লক্ষন দেখে বুঝবেন নতুবা সাবধান হতে পারেন মানুষ ?
উত্তর:
সর্বপ্রথম রুগীকেই আগে বুঝতে হবে যে তার সমস্যাটি ঠিক কি হচ্ছে ।
নাহলে সে কোনও ক্রমেই ডাক্তারবাবু কে বলতে পারবেনা অথবা জেতেও পারবেনা ।
হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব করতে পারে , এটি একটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষন । একেই বলা হয় মাইটোকন্ড্রিইয়াল ইনফ্রাকশান । এক ক্ষেত্রে শিরার রক্তের চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । আবার অন্যদিকে কখনো কখনো ব্যাথা করে । একেই বলা হয় অ্যাঞ্জাইনা। এই ক্ষেত্রে রক্তের চলাচল কমে গেলেও বন্ধ হয়ে যায় না । অনেকক্ষন ধরে হাঁটাচলা করলে ,দৌড়ঝাঁপ করলে মানুষ হাপিয়ে যায় । কিছুক্ষন বিশ্রাম এই ব্যাথা ধিরে ধিরে কমিয়ে দেয় । সে সময় আপনার হার্ট যখন তাড়াতাড়ি কাজ করার কথা ঠিক তখনই শিরা-ধমনি দিয়ে যতটা পরিমান রক্তের চলাচল প্রয়োজন ততটা করতে পারেনা । অ্যাঞ্জাইনা হৃদরোগের পূর্বাভাষ অথবা একটি সাবধান বানী মনে করা হয় । কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অ্যাঞ্জাইনা বুঝতে পারা সম্ভব হয় না । আচমকা হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায় আবার শিরা-ধমনী সঙ্কুচিত হয়ে গেলেও অ্যাঞ্জাইনা হয় । আর একেবারেই সে পথ যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে তা মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশান ।