করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ নিয়ে উৎকণ্ঠা, ভয় শেষ না হতেই সংক্রমণের গ্রাফ ফের একবার উর্দ্ধমুখী৷ কোভিড এর সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে গোটা দেশ। রূপ বদলেছে এবারের করোনার উপসর্গ। আবার ফিরছে করোনা। নতুন রূপে। কিন্তু আমরা কতটা সতর্ক? কতটা প্রস্তুত এর মোকাবিলায়? জেনে নিন করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসলে কি? তার জন্য প্রস্তুতিই–বা কেমন হওয়া উচিত?
২০২০র ২৩ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে সমগ্র ভারতবর্ষে শুরু হয়েছিল লকডাউন। সবাই গৃহবন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সংবাদ মাধ্যমের কর্মী, সাফাই কর্মী, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের মতো কিছু জরুরি পরিষেবা প্রদানকারি মানুষ।
সারা পৃথিবী তখন করোনার টিকা আবিষ্কারের অপেক্ষায় ছিল।
বিশ্বের সাংঘাতিক অতিমারীর প্রায় বছর পার হয়ে গিয়েছে। ধীরে-ধীরে আনলক প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। জন জীবন স্বাভাবিক হয়েছে। এবং মানুষও দ্রুত বেলাগাম হয়েছে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ঘুরে বেড়িয়েছেন।
আর এই বেপরোয়া মানসিকতা ডেকে এনেছে নতুন বিপদ । সংক্রমণ আবার বেড়েছে দ্রুত হারে । আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ । কোন মহামারী বা অতিমারীর সংক্রমণের হার কমে গিয়ে বা স্তিমিত হয়ে ফের ঊর্ধ্বমুখী হলে তাকে দ্বিতীয় ঢেউ বলা হয়।
কোন মহামারীর মিউটেটেড বা পরিবর্তিত ভাইরাসের রূপ অনেক সময় দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার অনেক সময় তা আগের থেকে অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে । করোনার ভাইরাসের ক্ষেত্রে মিউটেটেড ভাইরাস আগের থেকে শক্তিশালী না দুর্বল, কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
গত বছরের করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে প্রভাবিত হয়েছিল মূলত বড় বড় শহরগুলিই। কিন্তু এ বার, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মফস্বল শহর ছাড়িয়ে গ্রামীণ অঞ্চলেও করোনা আক্রান্তের বন্যা বইয়ে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি এবং দূরত্ববিধি মেনে চলে নিজেদের সুরক্ষিত করেই একমাত্র এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা সম্ভব।