Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

বিখ্যাত চিনের প্রাচীরের পরেই পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম প্রাচীর আছে ভারতেই! জানেন কি?

চীনের প্রাচীর পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে পড়ে। ছোট থেকেই ইতিহাস বইয়ের পাতায় আমরা সকলেই পড়েছি ‘দ্যা গ্রেট ওয়াল অফ চায়না’ এর বিষয়ে। দৈর্ঘ্যে ৬৪০০ কিলোমিটার। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না চীনের প্রাচীরের পরেই নাম যে প্রাচীরের সেটি ভারতবর্ষেই আছে। আর তা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাচীর। এই প্রাচীরের কিভাবে নির্মাণ হলো তার পিছনে লুকিয়ে আছে এক সাধুর আত্মত্যাগের রহস্যময় একটি গল্পও।

এই প্রাচীরটির নাম কুম্ভলগড়। কুম্ভলগড় হল একটি দুর্গের নাম। আরাবল্লী পর্বতমালার উপরে অবস্থিত ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম দুর্গ কুম্ভলগড়কে আবর্তন করে রেখেছে এই প্রাচীর। দৈর্ঘ্যে ৩৬ কিলোমিটার। এটিই পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম প্রাচীর।

রাজস্থানের রাজসমন্দ জেলায় অবস্থিত এই প্রাচীরটি পঞ্চাদশ শতক এ নির্মাণ করেন মেওয়াড়ের শাসক রাণা কুম্ভ । প্রাচীরটি প্রায় গড়ে ১৫ ফুট চওড়া। জানা যায় পাশাপাশি ৮টি ঘোড়া একসাথে চলতে পারত এই প্রাচীরের ওপর দিয়ে। এই দুর্গ পরিচিত ‘”অজেয়গড় দুর্গ” নামেও। অজেয়গড় নামের কারণ ছিল যে এই দুর্গটি জয় করা ভীষণ কঠিনসাধ্য এক কাজ ছিল। এমনকী মুঘল সম্রাট আকবরও বহু চেষ্টার পরেও এই প্রাচীরের দেওয়ালে একটা গর্তও করতে পারেননি। শেষে অবধি হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন।

কিন্তু এই দুর্ভেদ্য প্রাচীর তৈরী খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। প্রচলিত এক কাহিনী অনুসারে প্রাচীরটি যখন প্রথম নির্মাণ করা শুরু হয় প্রথম সাত কিলোমিটার নির্মাণের পরে বহু চেষ্টা সত্ত্বেও আর প্রাচীর বানানো যাচ্ছিল না। বারবার ভেঙে যাচ্ছিল পাথরের গাঁথনি। এই সমস্যার সমাধান করেন এক সাধু। বলেন কোনো এক ব্যক্তির আত্মত্যাগ ও সেই স্থানে এক দেবী মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেই প্রাচীর নির্মাণ সম্ভব হবে। সন্ন্যাসীর কথা শুনে রাজা ধন্ধে পরে যান। বুঝে উঠতে পারেন না কাকে আত্মত্যাগ দিতে বলবেন। এমন পরিস্থিতি দেখে সেই সাধু নিজেই আত্মত্যাগ দিতে প্রস্তুত হন। তিনি বলেন দুর্গ থেকে হাঁটা শুরু করে তিনি যেখানে থামবেন সেখানে যেন তাকে হত্যা করে সেই পর্যন্ত প্রাচীর নির্মাণ হয়। সাধু হাঁটা শুরু করে ৩৬ কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে যান এবং তার নির্দেশ অনুযায়ী সেখানেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। এইভাবে, প্রাচীরটির নির্মাণ সম্ভব হয়। আর তৈরি হয় ‘অজেয়’ প্রাচীর।

এই কুম্ভলগড় দুর্গের অভ্যন্তরে রয়েছে অন্তত ৩৬০ টি মন্দির যার মধ্যে ৩০০ টি প্রাচীন জৈন মন্দির এবং বাদবাকী হিন্দু মন্দির। তবে কালের নিয়মে বেশকিছু মন্দির ধ্বংসের মুখে। এই কুম্ভলগড় দুর্গের ভিতরে আরও একটি দুর্গ রয়েছে, যা ‘কাতারগড়’ নামে পরিচিত। কুম্বলগড় দুর্গটিতে প্রবেশের জন্য রয়েছে সাতটি বিশাল ফটক। এই কুম্ভলগড় দুর্গের প্রাচীরটি আরাবল্লি পাহাড়ের চূড়া থেকে একটি উপত্যকা পর্যন্ত প্রসারিত। বহু যুগ আগে নির্মিত হওয়া সত্বেও এখনও এই প্রাচীরটি একইরকম অক্ষত ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।

Related posts

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু করোনা আক্রান্ত রোগীর

News Desk

বাইক চুরি যাওয়ার ৮ বছর পর এলো চালানের বার্তা! কে বাইক ব্যাবহার করছে জানতে পেরে হতবাক

News Desk

আগামী বছরে গাঁটছড়া বাঁধতে পারেন এই পাঁচ রাশির জাতক জাতিকারা! রয়েছে বিয়ের যোগ

News Desk