প্রতিদিন ঝগড়া লেগেই থাকত স্বামীর সাথে । বাংলাদেশের পটুয়াখালির মির্জাগঞ্জের বছর বয়সী সিমা আক্তার মনে করেছিলেন, আত্মহত্যা করবেন বিষ খেয়ে । সেই মতই বিষ কিনতেও চলে যান । 20 কিন্তু সীমা গিয়েছিলেন একটি সারের দোকানে । কিন্তু দোকানদার বুঝতে পারেন সীমা আত্মহত্যা করতে চান বিষ খেয়ে আর তাই তিনি সীমাকে বোঝান যাতে সে আত্মহত্যা না করে। সীমা তাই সারের দোকানদারের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন । স্বামীকে সরাসরি তালাক দেন। কিন্তু বিয়ে করতে প্রেমিক রাজি হয়নি । তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই আবার বিষপান করেন সীমা প্রেমিকের বাড়ির সামনেই। প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এই যাত্রায় সীমার দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা হওয়ায়।
বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চার বছর আগে সীমা আক্তারের সঙ্গে শহিদুল্লার বিয়ে হয়। তাঁদের বছর তিনেকের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু অশান্তি চলতো প্রতিনিয়ত। তাই এক দিন খুব রাগ করেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সীমা। গ্রামেরই একটি সারের দোকান থেকে সেই মতো বিষ কিনতে যান। বিপদের আঁচ পেয়ে দোকানদার রায়হান সে সময় সীমাকে কোনও মতে বাঁচান। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের মধ্যে। এখন সীমার অভিযোগ, একাধিক বার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি করেন রায়হান বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কিন্তু বিয়ে করছেন না বারবার অনুরোধ সত্বেও। এর পরেই রায়হানের বাড়ির সামনে সীমা অনশনে বসেন। কিন্তু রায়হানের বাড়ির লোক তাতেও বিয়েতে সম্মতি না দেওয়ায়, আবার বিষ খান সীমা নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়ে। দ্রুত তাঁকে আত্মীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করলে প্রাণে বেঁচে যান। তবে সীমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গিয়েছে পর পর দু’বার প্রণয়ঘটিত আঘাত এবং দু’বারই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করার জন্য।
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, এখনও কোনও অভিযোগ এ বিষয়ে তারা পাননি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে অভিযোগ দায়ের হলে। তবে বিষ খেয়ে যে এক তরুণী অসুস্থ সে খবর তারা পেয়েছেন।