প্রায় রোজই প্রতিবেশী যুবক কু প্রস্তাব দিত গৃহবধুকে। ওই গৃহবধূ কোনও মতেই রাজি হননি। বারংবার প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে পারছিলোনা ওই যুবক। তাই সে ওই গৃহবধূর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করতে যায়। সেখানে ধস্তাধস্তি শুরু হয় আর এখানেই হয় অঘটন। আর ওই গৃহবধূ রেগে গিয়ে ওই যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে দিলো। আর ওই গৃহবধূ এই অভিযোগে গ্রেপ্তার। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল বাংলাদেশের (Bangladesh) নাটোরের বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে।
দু’জনেই নাটোরের বড়াইগ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ এবং যুবক। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয় বছর পঁয়ত্রিশের জহুরুল ইসলাম। গৃহবধূর শাশুড়ি জানান, দীর্ঘদিন থেকেই জহুরুল তাঁর পুত্রবধূকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। উত্যক্ত করছিল নানাভাবে। প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর ছেলে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বসবাস করছিলেন। একই সুর গৃহবধূর মায়ের গলাতে। তিনি জানান, “ মাদকাসক্ত জহুরুল। সে কারণেই এখানে থাকতে শুরু করেন জামাই ও মেয়ে। আমার জামাই কয়েকদিন আগে টাঙ্গাইলে কাজে যায়। আর সে আবার আমার মেয়ের কাছে আসে সেই সুযোগে। এ সময় ধারালো ছুরি দিয়ে আমার মেয়েকে খুনের চেষ্টা করে জহুরুলের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেই সময় এই কাণ্ডটি ঘটে।”
তবে জহুরুলের পরিবারের দাবি, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। তাদের দাবি, ওই গৃহবধূই সোমবার রাতে জহুরুল ইসলামকে ফোন করে ডেকে পাঠায়। সেই অনুযায়ী গৃহবধূর বাপের বাড়িতে যায় যুবক। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুকৌশলে জহুরুলের গোপনাঙ্গ কেটে নেয় গৃহবধূ। জহুরুল ছুটে যায় রক্তাক্ত অবস্থায়। জালশুকা বাজারে থাকা লোকজনকে জানায়। তাঁরা উপজেলা হাসপাতালে ভরতি করেন ওই যুবককে উদ্ধার করে। রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় অবস্থার অবনতি হলে। আপাতত চিকিৎসা সেখানেই চলছে। এ প্রসঙ্গে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহিম বলেন, “নানাভাবে জহুরুল উত্ত্যক্ত করছিল বলেই অভিযোগ পেয়েছি। এদিকে, জহুরুলের বাবার দাবি, গৃহবধূ তাঁর ছেলেকে খুন চেষ্টা করে। তাকে সেই অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই গৃহবধূকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”