২৪ বছর বয়সী নিদার বিয়ে হয়েছিল এই বছরেরই ২৩ শে জুলাই। বিয়ের কয়েকদিন পর নিদার পেটে ব্যথা অনুভূত হতে থাকে। চিন্তিত হয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে নতুন বউয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা করালে জানা যায় যে নিদা ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। নিদা সবার সামনে স্বীকার করেছে যে অনাগত সন্তানটি তার জামাইবাবু নাসিরের। এরপর জামাইবাবু ও শালী একসঙ্গে থাকতে শুরু করলেও এখন মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের পিলিভীতে ঘটেছে এই অদ্ভুত ঘটনা। এখানে চলতি বছরের জুলাই মাসে একটি মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর মেয়েটির পেটে ব্যথা হলে ডাক্তারের কাছে গেলে দেখা যায় মেয়েটি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর মেয়েটি স্বীকার করে যে এই শিশুটি তার জামাইবাবুর। এরপর জামাইবাবু ও শালী একসঙ্গে থাকতে শুরু করলেও একদিন সন্দেহজনক অবস্থায় মেয়েটির লাশ পাওয়া যায়। জামাইবাবুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে পরিবারের।
পিলিভীতের সদর কোতোয়ালি এলাকার মহল্লা দেশ নগরের বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সী নিদার এই বছরের ২৩শে জুলাই চাঁদোই গ্রামের বাসিন্দা সাঈদ আহমেদের সাথে মুসলিম রীতিতে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কিছু দিন পর নিদা পেটে ব্যথা অনুভব করে, তারপর সে তার স্বামীর সাথে ডাক্তারের কাছে যায়, সেখানে দেখা যায় নিদা ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এটা জানতে পেরে সবাই হতবাক হয়ে যায় এবং দুই পরিবারের মধ্যে পঞ্চায়েত বসে। পঞ্চায়েতে, নিদা সবার সামনে স্বীকার করে যে সে গর্ভবতী এবং এই অনাগত সন্তান তার জামাইবাবু নাসিরের, নাসিরও পঞ্চায়েতে বসেছিল, তারপর নাসির বলে যে সে নিদাকে বিয়ে করবে এবং তাকে নিয়ে যায়। নিদাও খুশিমনে তার জামাইবাবুর সাথে তার বাড়িতে যায় এবং একত্রে বসবাস শুরু করে।
এই ঘটনার এক মাস পর মঙ্গলবার সন্দেহজনক অবস্থায় নিদাকে ফাঁসে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিদার পরিবারের সদস্যরা নাসিরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করছেন। নিদার ভাই ইরশাদ বলেন, বিয়ের কয়েকদিন পর জানা যায় নিদার পেটে আমাদের বড় জামাইয়ের একটি সন্তান আছে, নিদার স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দেয় এবং নিদা তার জামাইবাবুর সাথে থাকতে শুরু করে এবং তারা তাকে আজ হত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে সিও সদর সুনীল দত্ত জানান, নিহতের স্বামীর সাথে তালাক হয়েছে এবং সে তার জামাইবাবুর সাথে থাকত। অবৈধ সম্পর্কের কারণে তার ডিভোর্স হয়েছে, আজ সে আত্মহত্যা করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের তদন্ত করছি।