রাজস্থানের আলওয়ারে, দুই দিন ধরে নিখোঁজ ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে জখম অবস্থায় একটি কূপে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত জামাইবাবুকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এর আগে কোতোয়ালি থানায় এই স্কুল ছাত্রীর নিখোঁজ হওয়ার রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছিল।
পুলিশ সুপার তেজস্বিনী গৌতম জানিয়েছেন, মেয়েটি দুদিন নিখোঁজ থাকার পর পুলিশ নিখোঁজ মেয়েটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং অভিযুক্ত জামাইবাবুর দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে অর্থাৎ একটি শুকনো কূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৩৫ ঘন্টা ধরে চলা উদ্ধার অভিযানের পর মেয়েটিকে বের করে আনা হয়। মামলার তদন্ত এএসআই বিজেন্দর সিং-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, যিনি এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছেন এবং দেখতে পান মেয়েটিকে তার জামাইবাবুর সাথে হেঁটে যেতে। এর ভিত্তিতে জামাইবাবু কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায়, মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে কুয়োয় ফেলে দিয়েছে সে।
মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জয়পুরে রেফার করা হয়েছে:
এর পরে, এনডিআরএফ এবং এফএসএল টিমের সহায়তায়, মঙ্গল বিহারে অবস্থিত নগর বিকাশ ট্রাস্টের খালি প্লটে তৈরি কূপ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। দেখা যায় মেয়েটি তখনও শ্বাস নিচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামাইবাবুকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি ছাত্রীটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে তাকে জয়পুরে রেফার করা হয়েছে।
স্বজনরা থানায় অভিযোগ দায়ের করে:
পুলিশ সুপার তেজস্বিনী জানিয়েছেন, মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেছিল। তিনি জানান, কয়েকদিন তার মেয়ে জিডি কলেজে যায়। কিন্তু সেখান থেকে সেদিন আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবার তাকে খুঁজে বের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু তারা তাঁকে পায়নি। পরে তারা থানায় অভিযোগ করেন।
এমন ঘটনা ঘটানোর পেছনে কি কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।