প্রেমে প্রতারিত হলে অনেকেই অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কিন্তু বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে যে ঘটনার কথা সামনে এসেছে এরম উদাহরন খুব কম। যেখানে প্রেমিকের থেকে প্রতারণার শিকার হন এক মহিলা, তারপর তিনি কল গার্ল র্যাকেট চালাতে শুরু করেন এবং নিজেই হয়ে ওঠেন এর সর্বেসর্বা। ঘটনা সামনে এলে জানা যায়, পাটনার ভিভিআইপি এলাকার অনেক অ্যাপার্টমেন্টে ভীষণ সক্রিয় ছিল এই সেক্স র্যাকেট। এই বিষয়ে অনেক বড় তথ্য সামনে এসেছে।
সম্প্রতি পুলিশ এই কল গার্ল র্যাকেটের অপারেটরকে গ্রেপ্তার করেছে, সে পুলিশের জেরায় জানিয়েছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।আসলে দুই বছর আগে একটি ফ্ল্যাট ভাড়ায় নিয়েছিলেন এই সেক্স র্যাকেটের অপারেটর মহিলা। অভিযুক্ত মহিলা বিবাহিত ছিলেন এবং বছর দুই আগে থেকে স্বামী ও সন্তানদের ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। হঠাৎ করেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট হতে যায় এবং প্রেমিক তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। প্রেমিকের সাথে বিচ্ছেদের পর সে কল গার্ল র্যাকেটের অপারেটর হয়ে ওঠে। তিনি জানান, প্রেমিক প্রতারণা করতেই সে এই পথ বেছে নিয়েছে।
পাটনা পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত মহিলা ভাল টাকাও রোজগার করছিলেন। তবে বিহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর ওনার গ্রাহক কমতে শুরু করে। এরপর তিনি অন্য রাজ্যের মেয়েদের নিয়ে এসে এই ব্যবসা করতে থাকেন। এই নিষিদ্ধ কারবারে ওই মহিলা অন্য একটু মেয়ের সাপোর্ট পেয়েছে, যে নিজেই বড় কল গার্ল। এরপর তারা দুজনে মিলে নালন্দার এক মহিলাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে এবং সে বাকি মেয়েদের ফাঁদে ফেলে পাটনায় নিয়ে আসতে থাকে। তারপর তাদের দিয়ে জোর করে পতিতাবৃত্তি করানো হতো।
এই র্যাকেটের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ধনজয় নামে এক যুবককেও গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তার কাজ ছিল খদ্দের জোগাড় করে আনা। কল গার্লের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নেওয়া হত, যেখানে এই অভিযুক্ত মহিলা নিজের এপার্টমেন্টে জায়গা দেওয়ার নামে এক হাজার টাকা নিতেন।
সচিবালয়ের এএসপি কাম্য মিশ্রের মতে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেক্স র্যাকেটের চক্রের দ্বারা নির্যাতিতরা জানিয়েছে যে তারা গত এক মাস ধরে পতিতাবৃত্তি অপারেটরের খপ্পরে পড়েছিল। তাদের দিয়ে মাসের মধ্যে ২৫ দিন পতিতাবৃত্তির কাজ করানো হয়। সম্প্রতি, পুলিশ একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে আপত্তিকর সামগ্রী সহ পতিতা ব্যবসার অভিযোগে তিন মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে।