বিবাহিত সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী এতটাই কাছের হয় যে বিচ্ছেদ খুব সহজ মনে হলেও টা কিন্তু খুব সহজ নয়। কিন্তু এমন কিছু হয়ে যায় এই সম্পর্কের মধ্যেও যে হকচকিয়ে যায় মানুষ। একবার শুধু ভাবুন যে কোনও মহিলা যদি কোনও পুরুষকে নিজের স্বামী মনে করে দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকেন এবং আচমকায় একদিন জানতেই পারেন যে উনি তার স্বামী নন, তাঁর জীবনে একজন পর পুরুষ এর সাথে সময় কাটিয়েছেন, তাহলে কী হবে তাঁর? ইংল্যান্ডের এক বাসিন্দার সাথে ঠিক এমনটাই হয়েছে।
ওই মহিলা আলাদা থাকতেন তার স্বামীর থেকে এবং তাঁর কিছু সমস্যা ছিল স্বামীর সঙ্গে। যদিও তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্কই বজায় রেখে চলছিলেন সমাজ জীবনে। হঠাৎ একদিন মহিলা জানতে পারেন যে স্ত্রী হিসেবে তিনি যার সঙ্গে ঘোরাফেরা করছেন সে আসলে তাঁর স্বামী নয় তাঁর আলাদা সংসার রয়েছে। খুবই মর্মান্তিক এবং একই সঙ্গে উদ্বেগজনক ঘটনাটি।
রাছপাল এবং রান্ধাওয়ার এই অদ্ভুত গল্পটি। তারা বিয়ে করেন ১৯৭৮ সালে বার্কশায়ারের স্লো রেজিস্ট্রি অফিসে। দুজনেই একসঙ্গে থাকতেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত এবং তারপর আলাদা থাকতে শুরু করেন একে অপরের থেকে। তবে তাঁরা শুধুমাত্র বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে। মজার ব্যাপার হল যে রনধাওয়া আবার বিয়ে করেছেন জানা যায় এবং তার একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে অবগত ছিলেন না তার স্ত্রী। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, নিজেও ডিভোর্স নেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন না ওই মহিলা।
তবে তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী হিসেবে। মজার ব্যাপার হল যে জানা যায় রনধাওয়া আবার বিয়ে করেছেন এবং একটি পুত্র সন্তানও তার রয়েছে। কিন্তু তার স্ত্রী এই বিষয়ে অবগত ছিলেন না। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই মহিলা নিজেও ডিভোর্স নেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন না।
পরে তিনি পারিবারিক আদালতে যান বিষয়টি স্ত্রীর সামনে আসলে। এখানে জানা যায় যে এক বা দুই নয়, স্বামীর তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ১২ বছর আগেই। অথচ তিনি কোনও তারিখও জানেন না ডিভোর্সের বা তিনি বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্রে স্বাক্ষরও করেননি। এমন পরিস্থিতিতে ওই মহিলা বিবাহবিচ্ছেদের কথা শুনে হতবাক হয়ে যান।
পরে জানা যায়, শুধুমাত্র রাধাওয়াই বিবাহবিচ্ছেদের জন্য এগিয়েছিলেন ২০১০ সালে স্ত্রীর জাল স্বাক্ষর করে। এরপর অন্য এক মহিলাকে ২০১১ সালে বিয়ে করেন তিনি এবং তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের নতুন আইন অনুযায়ী, আরও সহজ করা হয়েছে বিবাহবিচ্ছেদ এবং বলা হয়েছে এর জন্য কোনও সরকারী ভিত্তির প্রয়োজন নেই। কোনও ভুল বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হবে না এপ্রিল থেকে বলেও জানিয়েছে সেখানকার আইন ব্যবস্থা।