স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস এবং ভালোবাসার। কিন্তু সন্দেহ নামক ঘুণপোকা যদি কোনো সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে পড়ে, তাহলে সেই সম্পর্ককে একেবারে যন্ত্রণার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায় এবং ব্যক্তি বিশেষ কেও নিঃশেষ করে ফেলে। স্বাভাবিকভাবে সন্দেহ ঠিক আছে, কিন্তু অকারণ সন্দেহ এক ধরনের অসুস্থতা যা কোন মানুষকে শেষ করে দেয়। ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটলো ছত্রিশগড়ে।
ছত্তিশগড়ের কোরবায় স্বামীর উপর সন্দেহের কারণে স্বামীর সঙ্গে বিবাদের পর এক মহিলা নিজেকে ঘরে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন নেভানোর চেষ্টায় স্বামীর হাতও পুড়ে যায়। কোরবা জেলার মানিকপুর চৌকি এলাকার দিপাড়াপাড়ার বাসিন্দা পূজা স্বামীর অন্য কোথাও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করে আর সেই সন্দেহের জেরে ঘরে ঢুকে তালা ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর যা হয়, পড়ুন বিস্তারিত।
পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ বছর আগে পূজাকে বিয়ে করেন সুরজভান নামক এক ব্যক্তি। এটি অবশ্য তার দ্বিতীয় বিয়ে। জানা গেছে, সোমবার স্বামী সুরজভানের মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। এরপরই দুজনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। স্ত্রী পূজার সন্দেহ, স্বামীর অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক আছে। এজন্যই অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসছে। সুরজ ভান জানান, স্ত্রীকে অনেক বুঝালেও না বুঝলে শেষ অব্দি স্ত্রীর সন্দেহ দূর করতে তিনি ফোন বাড়িতে রেখে চলে যান। কয়েক ঘন্টা পর, তার স্ত্রী তাকে বাড়িতে আসতে বলে এবং তার আগমনের কিছুক্ষণ আগে, সে নিজেকে প্রথম ঘরে তালাবদ্ধ করে এবং তারপর নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দরজা ভেঙে এই সময় স্ত্রীকে বাঁচান সুরজভান। এ সময় তার হাত পুড়ে যায়। তড়িঘড়ি করে অগ্নিদগ্ধ বধুকে কোরবা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে পূজার প্রায় ৭০ শতাংশই পুড়ে গেছে। এখন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা চলছে তার। জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পূজার অবস্থার উন্নতি হলে তার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে। বর্তমানে সুরজ ভানসহ তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।