লুধিয়ানা জেলার মোল্লানপুর দাখার ভানোহর গ্রামে এক মহিলা তার পাঁচ বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। গ্রামের পুকুরে বিরাজের লাশ পাওয়া গেলে ঘটনাটি জানা জানি হয়। অভিযুক্ত মহিলার নাম ববিতা রানী। পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ববিতা রানী ছেলে কে হত্যার পর বস্তায় ভরে তার দেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, ওই নারী তার ছেলে ও স্বামী শ্যাম লালসহ সম্প্রতি হাসানপুর গ্রাম থেকে ভানোহর গ্রামে চলে আসেন। বুধবার বিরাজের নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা তাকে খুঁজতে থাকে। তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রামে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, এক মহিলা মাথায় বস্তা নিয়ে পুকুরের দিকে যাচ্ছেন। গ্রামবাসী ববিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিরাজকে শ্বাসরোধ করে ছেলের মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে এই কথা স্বীকার করে।
এরই মধ্যে মারা গেছে আরও তিন শিশু:
ওই নারীর স্বামী শ্যাম লাল জানান, তাদের আরও তিন সন্তান অতীতে রহস্যজনকভাবে মারা গেছে এবং তাদের হত্যার পেছনে তার স্ত্রীর হাত থাকতে পারে। এসএইচও ইন্সপেক্টর অজিতপাল সিং বলেছেন যে শ্যাম লালের অভিযোগের ভিত্তিতে ববিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৫ বছরের ছেলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে মারা যায়:
অন্যদিকে, লুধিয়ানার একটি এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে মারপিটে ১৫ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বলা হচ্ছে, দুই ভাই শাবন ও সুমিত ইডব্লিউএস কলোনিতে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন, এতে দুজনেই আহত হন। তাদের স্থানীয় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সশস্ত্র যুবকরা সেখানে পৌঁছে সেখানে লুটপাট চালালে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হামলাকারীরা জানালার কাঁচ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ভেঙে ফেলে। সুমিত দাবি করেন, ওই যুবকরা হাসপাতালে তলোয়ার ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাবন এর ওপর হামলা চালায়। সুমিত অভিযোগ করেছেন যে আশেপাশে একটি পুলিশ চৌকি থাকা সত্ত্বেও, পুলিশ শাবনকে সময়মতো সিএমসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। যার কারণে সিএমসিতে পৌঁছাতে দেরি হয় এবং চিকিৎসকরা শাবনকে মৃত ঘোষণা করেন।