প্রেমের টানে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ইদানিং বেশ সাধারন একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে অনেক সময় দেখা যায় প্রেমিক বা প্রেমিকার কারণে বিয়ে ভাঙার পর নারী বা পুরুষ বেশ জটিলতায় পড়ে যান। সন্মুখীন হন নানা সমস্যার। যেমন এই মেয়েটি। প্রেমের টানে বিয়ে ভেঙ্গে প্রেমিকের সঙ্গে থিতু হতে চেয়ে স্বামীর ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে। এখন সেই সিদ্ধান্তের জন্য আফসোস করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তার কাছে। বিচারের জন্য এখন থানায় ঘোরাফেরা করছেন ওই মহিলা। কারণ যে প্রেমিকের কারণে তিনি ঘর ছেড়েছিলেন সেই প্রেমিক তাকে ছেড়ে আবার বিয়ে করেছে। এই খবর পেয়ে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের লালকুয়ানের রাধা কলোনির ২৪ বছর বয়সী সীমা ঠাকুর ছাপড়ার জালালপুর থানায় পৌঁছান। কিন্তু এখন প্রেমিক তাকে নিজের কাছে রাখতে রাজি নয়।
পড়ালেখা নিয়ে কাজ করতেন অভিমন্যু
সীমা ঠাকুর জানান, ২০১৬ সালে বেরেলির বাসিন্দা রঞ্জিত ঠাকুরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এ সময় তার সাথে দেখা হয় জালালপুর থানার নওয়াদা মাঠিয়ার বাসিন্দা অভিমন্যুর। তিনি গাজিয়াবাদের লাল কুয়ানে অবস্থিত রাধা বিহার কলোনিতে পড়াশোনা ও কাজ করতেন। পরিচিত হওয়ার পর একে অপরের সাথে দেখা করা শুরু করেন। একে অপরের উপর টান বেড়ে যায়। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে সীমা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। অপরদিকে অভিমন্যুর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার কথা কানে যায় স্বামী রঞ্জিত ঠাকুরেরও। তিনি এটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরিবারে শুরু হয় অশান্তি। তিনি স্ত্রী কে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সীমা তা মানতে রাজি ছিল না। অভিমন্যুকে বিশ্বাস করে, তিনি তার স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন।
স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে ২০১৭ সালে অভিমন্যুকে বিয়ে করেছিলেন সীমা। তার সাথে অন্যত্র থাকতে শুরু করেন তিনি। কয়েকদিন সবকিছু ঠিকঠাক চলেছিল। এরপর ২০২০ সালে, যখন অভিমন্যু ছাপড়ায় নিজের বাড়িতে যান হঠাৎই মারহাউরার একটি মেয়েকে বিয়ে করে নেন।অনেকদিন বাদে জানতে পেরে সীমা গোপনে ২০২২ সালের ২১ মার্চ ছাপড়ায় আসেন। এ সময় অভিমন্যুর পরিবারের লোকজন ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ছাপড়ায়ই একটা ভাড়া বাড়তে থাকতে শুরু করেন সীমা। ১৯শে মে অভিমন্যুর পরিবারের সদস্যরা গ্রামে ফিরে এলে সীমা তার শ্বশুর বাড়িতে যায়। কিন্তু তারা তাকে মারধর করে। মারধরে তার মাথা ফেটে যায়। চিকিৎসার পর বিচারের জন্য এখন থানায় পৌঁছেছেন তিনি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।