কারাগারে বন্দী যুবকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন এক নারী। সাক্ষাতের সময় ওই নারী বন্দীকে চুম্বন করেন। চাঞ্চল্যকর ভাবে এর কিছুক্ষনের মধ্যেই বন্দী মারা যায়। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান ওই কারাগারের রক্ষীরা। মৃত্যুর পর অবশ্য ওই নারীকে বন্দি হত্যার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু চুম্বন করে কিভাবে হত্যা করলেন এই নারী? সামনে এলো চঞ্চল্যকর তথ্য..
ঘটনা আমেরিকার। টেনেসির একটি কারাগারে জোশুয়া ব্রাউন নামে এক বন্দী নিজের শাস্তি ভোগ করছিলেন। তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন র্যাচেল ডলার্ড। ব্রাউনের সাথে দেখা হওয়ার সময় রাচেলের মুখে মেথামফেটামিন জাতীয় ওষুধ ছিল। দুজনেই দেখা হওয়ায় পর চুম্বন করেন? এ সময় রাচেল তার মুখ থেকে ওষুধটি ব্রাউনের মুখে চালনা করে দেন। তারপর ব্রাউন একবারে পুরো ওষুধটি গিলে ফেলে। কিন্তু কেন! আসলে নেশা করার জন্যই এভাবে ওষুধ নিয়ে গিয়েছিল ওই মহিলা।
জানা গিয়েছে ওষুধের ওজন ছিল প্রায় ১৪ গ্রাম। ব্রাউন ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রার কারণেই মারা গেছে। এখন ওই বন্দীর মৃত্যুর পর, টেনেসি ডিপার্টমেন্ট অফ কারেকশন (TDOC) এর এজেন্টরা রাচেল ডলারার্ডকে হেফাজতে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। রেচেলকে টেনেসি ডিপার্টমেন্ট অফ কারেকশন দ্বারা হিকম্যান কাউন্টি জেলে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত আপনাদের জানিয়ে রাখি যে মৃত ওই যুবক জোশুন ব্রাউনকে মাদক সংক্রান্ত মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ১১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। ২০২৯ সালে তার সাজা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এর আগে ফেব্রুয়ারিতে সাক্ষাতের অজুহাতে রাচেল নামক ওই মহিলা ব্রাউনকে ড্রাগস দেন। জিজ্ঞাসাবাদে রাচেলও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এই ঘটনার পর টেনেসি ডিপার্টমেন্ট অফ কারেকশন (TDOC) একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে- এখন থেকে আমাদের কারাগারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও কঠোর করা হবে। বন্দিদের সঙ্গে দেখা করা এবং তাদের সঙ্গে কোনো বহিরাগত জিনিস আনার বিষয়ে কঠোর তদন্ত করা হবে যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।