অক্ষয় কুমার আর ভূমি পেন্দেকার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ তে ভারতবর্ষের একটি সামাজিক এবং বাস্তবিক সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। যেখানে শ্বশুর গৃহে টয়লেট না থাকায় ভূমি পেন্দেকার অভিনীত চরিত্র অর্থাৎ বাড়ির বউ শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছিল বাপের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিল। জেদ ধরে ছিল যতদিন না স্বামী বাড়িতে শৌচাগার এর ব্যবস্থা করছে ততদিন তিনি শ্বশুরবাড়িতে পদার্পন করবেন না। সিনেমায় অবশ্য অক্ষয় কুমার অভিনীত চরিত্র সমস্ত বাধার মোকাবিলা করে বানিয়েছিল বাড়িতে টয়লেট। কিন্তু একই কারণে ঘর ছাড়লেও বাড়িতে আর ফেরা হলো না তামিলনাড়ুর এই গৃহবধূর।
তামিলনাড়ুর কুড্ডালোরে তার শ্বশুর বাড়িতে একটি টয়লেটের না থাকার কারণে হতাশ হয়ে ২৭ বছর বয়সী এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। সূত্রে খবর এই গৃহ বধূর নাম রম্যা, যিনি কুড্ডালোর জেলার আরিসিপেরিয়ানকুপ্পাম গ্রামের বাসিন্দা এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। গত ৬ই এপ্রিল তার কার্তিকেয়ান নামক এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামীর বাড়িতে টয়লেট না থাকায় বিয়ের পর আবারও মায়ের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গেই থাকতে শুরু করেছিলেন রম্যা।
বধূ তার স্বামীকে কুড্ডালোরে এটাচড টয়লেট সহ একটি বাড়ি ভাড়া খুঁজতে বলেছিলেন। যেখানে তারা একসাথে বসবাস করবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই নিয়ে বাদ বিবাদ চলেছে বেশ কিছুদিন। কিন্তু স্বামী তাঁর দাবি না মানায় রম্যার আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
সোমবার রম্যার মা তাদের বাড়ির সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে দ্রুত কুদ্দালোর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রম্যাকে পরে পন্ডিচেরির জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোষ্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বা JIPMER এ স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, কিন্তু চিকিৎসার সময় তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় রম্যার মা মঞ্জুলা তিরুপাথিরুপুলিউর থানায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন যার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।